নারায়ণগঞ্জের আলোচিত মেধাবী ছাত্র ত্বকী হত্যার নেপথ্যে আবারো নারীঘটিত বিষয়কে দায়ী করলেন, সন্দেহভাজন ওসমান পরিবারের সদস্য, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান।
শনিবার বিকেলে বন্দরের নবীগঞ্জে স্থানীয় জনগণের ব্যানারে দুই সহোদর সাংসদ শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমানকে দেওয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ দাবি করেন।
শামীম ওসমান বলেন, ‘ত্বকী হত্যার ঘটনায় বার বার আমাদের পরিবারকে আঘাত করার চেষ্টা করা হয়েছে। আপনাদের সাক্ষী রেখে এই মাটিতে দাঁড়িয়ে প্রথমবারের মতো বলছি, ত্বকী হত্যার বিচার আমিও চাই। এর বিচার বিভাগীয় তদন্ত চাই এবং আমি এও বলতে চাই যে, এটা একটা নারীঘটিত ঘটনা। এ ঘটনা কোথায় কেমন করে ঘটেছে, তার সবকিছুই আমাদের জানা আছে। অথচ এ নিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র হচ্ছে। কখনো ত্বকীর ঘটনায়, আবার কখনো সেভেন মার্ডারের ঘটনায়।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা ত্বকী হত্যাকান্ডের তদন্ত চাই এবং প্রকৃত খুনিদের বিচার চাই। যারা এটা ঘটিয়েছে, তারা জানে- সেখানে কোন নেতা উপস্থিত ছিলেন, সাক্ষী কে ছিল। যেভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে সেভেন মার্ডারের ঘটনা ঘটানো হয়েছিল, ঠিক সেভাবেই ওই একই গ্রুপ এ কাজ করেছে। আর এ ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য ব্যয় হয়েছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র আইভী এবং কথিত সুশীল সমাজের ড. কামালদের টাকা।
এ সময় স্বভাবসুলভ ঔদ্ধত আচরণে সংবাদ-কর্মীদেরও একহাত নেন শামীম ওসমান।
তিনি বলেন, ‘একবার আমাকে বোমা হামলায় মারার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু তা না পেরে এখন মিডিয়ার মাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হচ্ছে। মিডিয়ার ভাইদের বলছি- আমাদের সমালোচনা করুন, কিন্তু বিনা অপরাধে মিথ্যার প্রলেপ দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। সবাই না, দুই একটি পত্রিকার সাংবাদিক এই কাজটি করেন; আমি জানি, তারা কারা। মনে রাখবেন ধৈর্য আমাদের বেশি, কিন্তু অনেক বেশি নয়। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে আমরা সামনে এগোবার চেষ্টা করবো। যদি একবার মনে করি সামনে এগোনোর চেষ্টা করবো, তাহলে কিন্তু সামাল দিতে পারবেন না।’
নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রশাসক আব্দুল হাই-এর সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ রশীদ, জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক আবু জাহেল, জেলা যুবলীগের সভাপতি আবু হাসনাত শহীদ মোহাম্মদ বাদল প্রমুখ।