গাছে বাঁধা আরেক ববিতা

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামুন্দি নিশিপুরে সড়কের পাশে উৎসুক জনতার ভিড়। পাশে একটি গাছের সঙ্গে বাঁধা মধ্যবয়সী এক নারী। চোখে মুখে তার আতঙ্কের ছাপ।

 
গত কয়েকদিন ধরে তাকে এভাবেই বেঁধে রেখে চিকিৎসার জন্য টাকা তোলা হচ্ছে। ওই নারীর খালা রিজিয়া খাতুন জানান, পিতা-মাতাহীন ববিতা তার কাছেই মানুষ। কিন্তু তার চিকিৎসা করানোর মতো সামর্থ্য তাদের নেই। ববিতাকে ছেড়ে দিলে শরীরের সব কাপড়-চোপড় খুলে ফেলার চেষ্টা করে। মাথার চুল টেনে তুলে ফেলে। এ কারণে চুল কেটে খাটো করা হয়েছে। হাত বেঁধে রাখা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে যুব উন্নয়ন ক্লাবের সভাপতি মোস্তাফিজুর জানান, আমরা যুব ক্লাবের কয়েকজন সদস্য উদ্যোগী হয়ে তার চিকিৎসার জন্য রাস্তার পাশে গাছের সঙ্গে বেঁধে পথচারীদের কাছ থেকে কয়েকদিন ধরে চাঁদা তুলছি। মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা. আলো কুমার দাস বলেন, এটি একটি মানসিক রোগ। উপযুক্ত চিকিৎসা করলে এ রোগ ভালো হতে পারে।

 
মেহেরপুর পুলিশ সুপার এ বিষয়ে বলেন, নিশিপুর গ্রামে কাউকে বেঁধে রাখার খবর আমার জানা ছিল না। তবে এটা অবশ্যই অমানবিক। তিনি আরও বলেন, তাকে যেন বেঁধে রাখা না হয় তার জন্য দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

 
উল্লেখ্য, এর আগে ৩০ এপ্রিল সকালে নড়াইলের লোহাগাড়া উপজেলার শালবরাত গ্রামে ববিতা নামে আরেক গৃহবধূকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন চালায় তার সেনা সদস্য স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এ ঘটনায় ৫ মে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সেনা সদস্য স্বামী শফিকুল শেখসহ সাত জনকে আসামি করে লোহাগড়া থানায় মামলা করেন ববিতার মা খাদিজা বেগম। এ ঘটনা নিয়ে গণমাধ্যমে ব্যাপক তোলপাড় হয়।
তথ্যসূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন

Exit mobile version