মুসলিম হওয়ার কারণেই ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে এক তরুণীকে। হাউজিং সোসাইটির পক্ষে এক দালাল তাকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, তারা মুসলিমদের কাছে ফ্ল্যাট ভাড়া দেয় না।
ভারতের মুম্বাইয়ের ওয়াদালায় সাংভি হাইটসে এ ঘটনা ঘটেছে বলে বুধবার জানিয়েছে এনডিটিভি ও টাইমস অব ইন্ডিয়া। সম্প্রতি এ বর্ণবৈষম্যের শিকার হয়েছেন মিসবাহ কাদরি (২৫) নামে এক সংবাদকর্মী।
মিসবাহ জানান, সম্প্রতি ফেসবুকে যোগাযোগ করে ফ্ল্যাটের সঙ্গী হিসেবে দুই হিন্দু তরুণীকে যোগাড় করেন। এরপর তারা সাংভি হাইটসের একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেওয়ার জন্য সেখানকার এক দালালের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
ওই দালাল মিসবাহকে জানান, হাউজিং সোসাইটি কোনো মুসলিমের কাছে ফ্ল্যাট ভাড়া দেয় না। এক পর্যায়ে দালাল মিসবাহের কাছে ফ্ল্যাট ভাড়া দেওয়ার বিষয়ে রাজি হলেও জানিয়ে দেয় এ জন্য তাকে জীবনবৃত্তান্ত জমা ও সম্মতিপত্রে স্বাক্ষর করতে হবে।
সম্মতিপত্রে উল্লেখ থাকবে, ভাড়া নেওয়ার পর ধর্মীয় কারণে প্রতিবেশীদের হাতে তিনি যদি হয়রানির শিকার হন তাহলে এর জন্য ওই দালাল বা ফ্ল্যাট মালিক কোনো রকম দায়ী থাকবেন না।
আগের এ্যাপার্টমেন্ট ছেড়ে দেওয়ায় এই চুক্তিতেই রাজি হয়ে যান মিসবাহ। কিন্তু এক সপ্তাহ না যেতেই ওই দালাল তাদের বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ দেয়। এমনকি তাদের মালপত্র ফেলে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়।
শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেছেন মিসবাহ।
মিসবাহ জানান, তিনি মূলত গুজরাটের বাসিন্দা। সেখানে ধর্মীয় বিদ্বেষের শিকার হওয়ায় মুম্বাই চলে আসেন। সাড়ে পাঁচ বছর ধরে তিনি মুম্বাইয়ে আছেন এবং সংবাদমাধ্যমে কাজ করছেন।
তবে মিসবাহের তোলা অস্বীকার করেছে সাংভি হাইটস হাউজিং সোসাইটি। সোসাইটির সুপারভাইজার রাজেশ বলেন, আমরা এখানে মুসলিমদের থাকতে দেই। এ ঘটনার জন্য ওই দালালকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
সম্প্রতি মুসলিম হওয়ায় এক তরুণের চাকরির পরীক্ষা নিতে অস্বীকৃতি জানায় মুম্বাইয়ের একটি হীরা রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান।