ঢাকা
সুপ্রিম কোর্টের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, রায় লেখা প্রায় শেষ পর্যায়ে আগামী সপ্তাহের যে কোন দিন এ পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হতে পারে। এরপর তা সুপ্রিম কোর্টের ওয়েব সাইটে প্রকাশ করা হবে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার কামারুজ্জামানের আপিলে বিভক্ত রায় দেওয়া বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিঞা তার মতামত লিখে খসড়া কপি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়েছেন।
এ রায়টি প্রধান বিচারপতি অনুমোদন করার পর কামারুজ্জামানের রায় দেওয়া ৪ বিচারপতি সম্পূর্ণ রায়টি পড়ে দেখবেন। এরপর পর্যায়ক্রমে চারজন বিচারপতি পূর্ণাঙ্গ রায়ে স্বাক্ষর করবেন। বিচারপতিদের স্বাক্ষরের পরে তা সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর কামারুজ্জামান ১৫ দিন সময় পাবেন রিভিউ করার জন্য। যদি এই সময়ের মধ্যে কামারুজ্জামান রিভিউ করেন, তাহলে রিভিউ নিষ্পত্তি হওয়ার পরপরই রায় কার্যকর করতে পারবে সরকার।
আর তিনি যদি রিভিউ না করেন, তবুও রায় কার্যকর করতে সরকারকে ১৫ দিন অপেক্ষা করতে হবে।
গত বছরের ৩ নভেম্বর তৎকালীন জ্যেষ্ঠ বিচারপতি (বর্তমান প্রধান বিচারপতি) সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ কামারুজ্জামানের ফাঁসির আদেশ বহাল রেখে চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেন।
এর আগে গত ৯ মে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে কামারুজ্জামানের মৃত্যুদন্ডের রায় ঘোষণা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।
তার বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনা ৭টি অভিযোগের মধ্যে ৫টিই সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ হওয়ায় এ রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনাল। বাকি দুটি অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দেওয়া হয়।
গত বছরের ৬ জুন ট্রাইব্যুনাল-২ এর দেওয়া ফাঁসির আদেশ থেকে খালাস চেয়ে আপিল করেন কামারুজ্জামান।
সূত্রঃ শীর্ষ নিউজ