জাবির ২৫তম ব্যাচের দুই যুগ পূর্তিতে পুনর্মিলনী

165
জাবির ২৫ ব্যাচের পুনর্মিলনী

ক্যাম্পাস জীবনের স্মৃতিচারণের লক্ষ্যে একটি দিন আনন্দের ভেলায় ভাসলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবির) ২৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। স্মৃতির রোমন্থনে সহপাঠীদের সঙ্গে মাতলেন গল্প, আড্ডা, নাচ আর গানে।

প্রাণের বন্ধনে একে অপরের সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে প্রত্যেকেই যেন কয়েক মুহূর্তের জন্য ফিরে গিয়েছিলেন সেসব হারানো দিনে। খুঁজে পেয়েছেন ক্যাম্পাস জীবনের সেই উচ্ছ্বল, বাধাহীন, তারুণ্য ও যৌবনের ছোট ছোট গল্পগুলো।

২৬ ফেব্রুয়ারি রোজ শুক্রবার জাবির ২৫তম ব্যাচের দুই যুগ পূর্তি এবং পুনর্মিলনী উৎসব রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। “২৫ এর বাইশ- সবুজের পানে, পঁচিশের টানে” এই শ্লোগানকে ধারণ করে এ মিলনমেলার আয়োজন করা হয়।

এ উপলক্ষে ২৫-এর বন্ধুদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে অনুষ্ঠানস্থল। ক্যাম্পাসের ফেলে আসা সেই রঙিন জীবনকে খুঁজে ফেরেন তারা।

সন্ধ্যায় জুফির বর্তমান সভাপতি সাদিক হাসান খান মননের শুভেচ্ছা বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হয় মিলনমেলার বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালা। এসময় অন্যান্যের মাঝে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ফেন্ডস’ ইনিসিয়েটিভ (জুফি) ২৫ -এর সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আনোয়ারুল কাইয়ুম চৌধুরী রাজু, কোষাধ্যক্ষ শাহ নেওয়াজ কবির শুভ্র, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ফেরদৌস আহমেদ (হাফিজ)-সহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এবং পঁচিশ ব্যাচের  শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

শুভেচ্ছা বক্তব্যে মনন বলেন, এ ধরনের মিলনমেলায় সকলেই প্রাণের তাগিদে উপস্থিত হন। তিনি ভবিষ্যতেও এ ধরণের আয়োজনে ২৫ ব্যাচের সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। এর পর স্মৃতির ঝাঁপি খুলে বসেন ২৫ এর বন্ধুরা। তারা এই একত্র হওয়াকে শুধুমাত্র মিলনমেলা বলতে নারাজ। তারা এটিকে একটি স্মৃতিচারণ মেলা বলে মনে করেন। এমন আয়োজনের পিছনের কারিগরদের ধন্যবাদ জানিয়ে তারা বলেন, সবাইকে একত্রিত করার এই প্রয়াস স্বার্থক হয়েছে।

এর আগে ব্যাচের দুই যুগ পূর্তি উপলক্ষে কেক কাটা হয়। অনুষ্ঠানে ২০২০-২০২১ সালের জন্য ডিসি, ডিএমপি আব্দুল মান্নানকে সভাপতি এবং জয়েন্ট কমিশনার, ট্যাক্স মাসুম বিল্লাহ সানিকে সাধারণ সম্পাদক করে জুফির আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়।

প্রায় ৫ ঘন্টাব্যাপী এই বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যে ছিলো বন্ধুদের আড্ডা, সেলফি এবং মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। স্মৃতিচারণ, আড্ডা, গান ও গল্পের মধ্য দিয়ে তারা সময় কাটান। ফেরার সময় সবার মুখে উচ্চারিত হচ্ছিল “২৫ এর বাইশ, সবুজের পানে, পঁচিশের টানে” আবার আসিব ফিরে।