সহকর্মীর স্ত্রীর গোসলের দৃশ্য ভিডিও করতে গিয়ে ধরা খেয়েছেন ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার কালামৃধা ইউনিয়নের কালামৃধা গোবিন্দ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেন (৪৫)। এ ঘটনায় তাৎক্ষনিক তাকে স্কুল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তি ও গ্রেপ্তারের দাবিতে সোমবার সকাল থেকে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী বিক্ষোভ করেছে। এ সময় তারা ওই শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রাখে।
খবর পেয়ে ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দুপুরের দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরে বিকাল ৪টার দিকে পুলিশ ওই শিক্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
এ ঘটনায় বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ তাৎক্ষণিক সভা ডেকে প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেছে।
পুলিশ জানায়, গত শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে টিফিন চলাকালে স্কুল কম্পাউন্ডে অবস্থিত নিজ বাসায় বাথরুমে গোসল করছিলেন ওই বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের স্ত্রী। গোসলের এক পর্যায়ে ওই মহিলা বাথরুমের উপরের ফাঁকা অংশে একটি হাত ও মোবাইল দেখতে পেয়ে মোবাইলটি কেড়ে নেয়। পরে ভিডিও ধারনকারী ব্যক্তি দ্রুত সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে ওই মহিলার স্বামী দ্রুত এসে দেখেন মোবাইলটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে কম্পাউন্ডে অবস্থিত প্রধান শিক্ষকের বাসা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করতে থাকে।
বিদ্যালয় পরিচালনা পর্যদের সভাপতি শফিকুর রহমান ছলেমান বলেন, ‘সোমবার সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ করে। এরপর হাজার হাজার এলাকাবাসী প্রধান শিক্ষকের বিচার দাবিতে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগ দেন। এসময় তারা প্রধান শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রাখেন। তাৎক্ষনিক সভা ডেকে আমরা প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেছি। মঙ্গলবার এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখি হাজার হাজার জনতার বিক্ষোভ করছে। শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী উত্তেজিত। তারা প্রধান শিক্ষকের বিচার চায়। আমাদের উপস্থিতিতেই কমিটি তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে। ভিডিওটি আমি দেখিনি। তবে ওই মহিলার স্বামী ওসি সাহেবকে দেখাবে বলে জেনেছি।’
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল ইসলাম বলেন, জনরোষের হাত থেকে ওই শিক্ষককে রক্ষা করতে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে তাকে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।