জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার রুবেল হোসেনের জামিন বাতিলে চিত্রনায়িকা নাজনীন আক্তার হ্যাপীর পক্ষের আইনজীবী মামলা পরিচালনা থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। সোমবার রাতে নিজের ফেসবুকে এই ঘোষণা দেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কুমার দেবুল দে। নিজের ফেসবুক ওয়ালে এই আইনজীবী জানিয়েছেন, বাংলাদেশের ক্রিকেট সমর্থকদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে, একজন পেশাজীবী হিসেবে হ্যাপীর পক্ষে মামলা পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছিলাম। বাংলাদেশের এহেন সফলতায় রুবেলের বিপক্ষে মামলায় লড়ার আমার আর ইচ্ছে নেই। তাই হ্যাপীর আইনজীবী হিসেবে এখনই নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিলাম।
তিনি লিখেছেন, ভবিষ্যতে অত্র মামলাটি পরিচালনা করার জন্য হ্যাপীর পক্ষে অন্য কোনো আইনজীবী নিয়োগ করা হলে আমার কোনো আপত্তি নেই। আর এখন থেকে আমি আর হ্যাপীর আইনজীবী নই। শুভেচ্ছা বাংলাদেশ ক্রিকেট দল!!!! ধন্যবাদান্তে- কুমার দেবুল দে, অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট। হঠাৎ আইনজীবী নাম প্রত্যাহার করে নেওয়াতে মামলা পরিচালনায় চিত্রনায়িকা নাজনীন আক্তার হ্যাপীকে নতুন সমস্যার মুখোমুখি হতে হলো।
এদিকে একটি প্রাইভেট টেলিভিশনের সাক্ষাৎকারে নাজনীন আক্তার হ্যাপী বলেন, যদি মামলা তুলে নেওয়ার সুযোগ থাকত, তবে তিনি মামলা তুলে নিতেন। কিন্তু সেই সুযোগ না থাকায় এখন থেকে আর মামলায় স্বাক্ষ্য-প্রমাণ দাঁড় করাবেন না। কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, রুবেলকে আমি খুব ভালোবাসি। ওর সঙ্গে মামলা করে শত্রুতা করতে চাইনি। শুধু ভালোবাসার অধিকার ফিরে পেতে চেয়েছি। তিনি আরও বলেন, শুধু রুবেলকে দেখার জন্য তিনি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের দুটি ম্যাচ দেখেছেন। হ্যাপীর বিশ্বাস, রুবেল যদি তাকে কোনোদিন সত্যি ভালোবেসে থাকেন, তাহলে একদিন না একদিন আবার তার কাছে ফিরে আসবেন।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের খেলা দেখার পর হ্যাপি বলেছিলেন, সাধারণত আমি ক্রিকেট খেলা দেখি না। আজ শুধু রুবেলকে দেখার জন্যই এই ম্যাচটি দেখেছি। আর সব বাংলাদেশির মতো আমিও চেয়েছিলাম বাংলাদেশ জিতুক। তারপর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচটিও দেখেন হ্যাপি। ওই ম্যাচে একমাত্র বাংলাদেশি বোলার হিসেবে একমাত্র উইকেটের শিকারি ছিলেন রুবেল।