লন্ডনের চারটি স্কুলে ছাত্রদের রোজা রাখার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। অধ্যক্ষরা জানিয়েছেন, ছাত্রদের কল্যাণের দিকটি চিন্তা করেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। স্কুলগুলো পরিচালনা করে দ্য লায়ন একাডেমি ট্রাস্ট। তাদের পক্ষ থেকে চলতি সপ্তাহে ছাত্রদের অভিভাবকদের কাছে এ ব্যাপারে চিঠি দেয়া হয়েছে। ব্রিটেনের মুসলিম এসোসিয়েশন এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা করেছে।
মুসলিম শিক্ষার্থীদের বাবা মায়ের কাছে লিখা চিঠিতে বার্কলে প্রাইমারি স্কুলটির কর্তৃপক্ষ লিখেছে, যদিও রমজান মাসটি প্রতিটি মুসলমানের জন্যই খুবই বিশেষ একটি মাস, কিন্তু তারপরও এ মাসে স্কুলে মুসলিম শিশুদের রোযা পালন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ মাসটি স্কুলের খুবই ব্যস্ত সময় আর শিক্ষার্থীদের ওপরও প্রচুর চাপ পড়বে। তাই সামারের এ সময়ে একটি শিশু না খেয়ে এত দীর্ঘ সময় স্কুলের কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবে না।
চিঠিতে আরো বলা হয়, ইসলামি আইনে শিশুদের রোজা রাখা বাধ্যতামূলক নয়। তারা যখন বড় হবে, তখন রোজা রাখবে।
এর আগেও রোযা পালন করতে গিয়ে অনেক শিশুর অসুস্থতার অভিযোগ পেয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাই তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তবে স্কুলের এ সিদ্ধান্তে স্থানীয় মুসলিম কমিউনিটির মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় মুসলিম নেতারা বলছেন, শিশু রোযা পালন করবে কি করবে না, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে শুধুমাত্র শিশুর অভিভাবক। একজন মুসলিম নেতা মেইল অনলাইনকে বলেন, ইসলামে এমন নিয়ম আছে যে, যিনি রোযা পারনে সক্ষম হবেন না, তিনি রোযা ভাঙতে পারবেন। এছাড়া অনেক বৃদ্ধ বা খুবই অল্পবয়সী বা শারীরীকভাবে অসুস্থদেরও রোযা পালনে শিথীলতার কথা বলা আছে।
ধর্মীয় নেতা আনজেম চৌধুরী স্কুলের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভ জানিয়ে টুইটারে পোষ্ট করা বার্তায় বলেন, মুসলিম বাবা মায়েদের উচিত বার্কলে স্কুল থেকে তাদের সন্তানদের সরিয়ে এমন কোথাও ভর্তি করানো, যেখানে শরিয়া আইনের শিক্ষা দেয়া হবে।