ভারতের সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে, যদি বিয়ে না করে কোনও স্ত্রী-পুরুষ একসঙ্গে বসবাস করেন ঠিক স্বামী-স্ত্রীর মতোই অর্থাত্ তাঁরা যদি লিভ-ইন সম্পর্কে থাকেন তাহলেও তাঁদের আইনত বিবাহিত দম্পতি বলেই ধরা হবে। সেক্ষেত্রে পুরুষ সঙ্গীর মৃত্যুর পর তাঁর সব সম্পত্তির উপর সম্পূর্ণ অধিকার থাকবে মহিলা সঙ্গীর। আদালত এই রায়ও দিয়েছে যে এমন সম্পর্কে থাকাকালীন কোনও সন্তানের জন্ম হলে তাকেও বৈধ বলেই ধরা হবে।
বিচারক এম ওয়াই ইকবাল এবং বিচারক অমিতাভ রায়ের এক বেঞ্চ রায় দিয়েছেন, যদি দীর্ঘ দিন ধরে দু’জন পুরুষ মহিলা সহবাস করেন, তাহলে এটা ধরে নেওয়া হবে যে তাঁরা বিবাহিত দম্পতি। যদি এঁদের মধ্যে কেউ এই সম্পর্কের কথা অস্বীকার করতে চান তাহলে আগে তাঁকে প্রমাণ করতে হবে যে তাঁদের মধ্যে কোনও সম্পর্কই ছিল না। অপর পক্ষের কোনও দায় নেই তাঁদের সম্পর্কের বৈধতা প্রমাণ করার।
একটি মামলার রায় ঘোষণার সময়ে এই ঐতিহাসিক রায়টি দিয়েছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। একটি পারিবারিক মামলায় পিতামহের সম্পত্তির মিমাংসার সময়ে শীর্ষ আদালত রায় দিয়েছে মৃত ব্যক্তির ২০ বছরের লিভ-ইন পার্টনারের পক্ষে। পিতামহের সম্পত্তির ভাগ নিতে এসে নাতিরা দাবি করেন, যে নারী তাঁদের দাদুর সম্পত্তির ভাগ চাইছেন, তিনি আদৌ মৃত ব্যক্তির বিবাহিতা স্ত্রী নন। বরং তাঁদের ঠাকুমার মৃত্যুর পর দীর্ঘ ২০ বছর ধরে এই ভদ্রমহিলার সঙ্গে একত্রে বাস করতেন তাঁদের দাদা। সেই নারীও তাঁদেরই বাড়িতে থাকতেন। যদিও ভদ্রমহিলা নিজেও বিবাহিত হওয়ার কোনও প্রমাণ দিতে পারেননি, তবুও সব শুনে আদালত রায় দিয়েছে যেহেতু দীর্ঘ দিন ধরে পারিবারিক বাড়িতে স্বামী-স্ত্রীর মতোই তাঁরা একত্রে বসবাস করতেন, তাই এটা ধরেই নেওয়া হবে যে তাঁরা বিবাহিত। ফলে সম্পত্তির উপরে তাঁরও সমান ভাগ আছে।