সফলতা কোনো নির্দিষ্ট ছক ধরে আসে না। তবে এক্ষেত্রে কিছু বিষয় মেনে চললে তা সফল জীবনে সহায়ক হিসেবে কাজ করে। এ বিষয়ে একটি প্রবণ্ধ লিখেছিলেন অ্যাইমি গ্রোথ। পরবর্তীতে তার মূল বিষয়গুলো প্রকাশ করেছে বিজনেস ইনসাইডার।
১. গুরু সব সময়েই গুরু। গুরুকে কখনোই চাকচিক্যে ছাড়িয়ে যাবেন না। এতে তিনি আপনাকে হুমকি বলে মনে করতে পারেন। এছাড়া এতে নানা বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে।
২. বন্ধুদের মাত্রাতিরিক্ত বিশ্বাস করবেন না। বন্ধুরা আপনাকে পথেও বসাতে পারে। অন্যদিকে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, শত্রুদের ব্যবহার করার ক্ষমতা অর্জন করা। এটাও শিখে নিতে হবে।
৩. নিজের আগ্রহ গোপন করে রাখুন। আপনার কার্যক্রমের পেছনের আগ্রহ যদি সবাই জানতে পারে তাহলে তা ভণ্ডুল হয়ে যেতে পারে।
৪. প্রয়োজনের চেয়ে বেশি কথা বলবেন না। আপনি কাউকে অভিভূত করার জন্য যদি প্রচুর কথা বলা শুরু করেন তাহলে তা আপনাকে সাধারণ মানুষ হিসেবে প্রকাশ করবে।
৫. সুনামের ওপর গুরুত্ব দিন। এটি আপনার জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই একে সর্বশক্তি দিয়ে রক্ষা করতে হবে।
৬. মনোযোগ আকর্ষণে গুরুত্ব দিন। ভিড়ের মাঝেও যেন অন্যরা আপনাকে খুঁজে পায়, সে ব্যবস্থা করুন।
৭. অন্যদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করুন। তবে প্রয়োজনে কাজের সাফল্য নিজের কাঁধে নিতে দেরি করবেন না।
৮. অন্য মানুষকে আপনার কাছে নিয়ে আসুন। প্রয়োজনে টোপ ব্যবহার করুন।
৯. কাজের মাধ্যমে বিজয়ী হন, বিতর্কে নয়। আপনার সত্যিকার কর্মতৎপরতা প্রকাশিত হবে কাজের মাধ্যমে। কথার মাধ্যমে বিজয়ী হওয়া কাজের কোনো কথা নয়। তাই কাজে জোর দিন।
১০. নেতিবাচক মনোভাবসম্পন্ন মানুষের কাছ থেকে দূরে থাকুন। এরা আপনার মনোভাবকে নেতিবাচক করে তুলবে।
১১. আপনার ওপর মানুষকে নির্ভর করতে দিন। এজন্য প্রয়োজনে নানা পদক্ষেপ নিন যেন অন্যরা আপনাকে নির্ভরযোগ্য হিসেবে ধরে নেয়।
১২. নিজের সততা ও নির্ভরযোগ্যতা বিষয়ে ভাবমূর্তি তৈরি করুন। এটি আপনার ভবিষ্যত জীবনে পাথেয় হবে।
১৩. সাহায্য চাইতে গেলে তাদের লাভের কথা সবার আগে দেখুন। এখানে দয়া-মায়ার অবকাশ রাখবেন না।
১৪. অন্যদের সঙ্গে বন্ধুর মতো হোন। কিন্তু প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে বন্ধুত্বের তুলনায় গোয়েন্দাও হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিন।
১৫. শত্রুকে ধ্বংস করে দিন সম্পূর্ণভাবে। শত্রুর শেষ রাখতে নেই, একথা ভুলে গেলে চলবে না।
১৬. সম্মান ও শ্রদ্ধা অর্জনের জন্য সব সময় উপস্থিতি এড়িয়ে চলুন। কিছুটা দূরত্ব বজায় রাখলে এগুলো অর্জন করা সহজ হয়।
১৭. অন্যদের সন্দেহের চোখে দেখুন। কাউকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করবেন না।
১৮. নিজের রক্ষার জন্য দুর্গ বানাবেন না। অন্যদের সঙ্গেই থাকতে হবে। অন্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া মানে অনেক বড় ক্ষতি।
১৯. যার সঙ্গে কাজ করছেন তাকে চিনে রাখুন। ভুল মানুষের সঙ্গে কোনো বিষয়ে কথা বলে কোনো লাভ নেই।
২০. কোনো বিষয়ে কাউকে প্রতিশ্রুতি দেবেন না। প্রতিশ্রুতি দেওয়া অনেক বড় বিষয়। এটি বহু ঝামেলা সৃষ্টি করে।
২১. এক শত্রুকে কাবু করতে অন্য শত্রুকে কাজে লাগান। এতে আপনার নিজের ঝামেলা কম হবে।
২২. আপনি যখন দুর্বল তখন আত্মসমর্পণের পদ্ধতি অবলম্বন করুন। সময় নিয়ে দুর্বলতা দূর করেশক্তি অর্জন করুন।
২৩. নিজের সব শক্তিকে একত্রিত করুন। শক্তি ব্যবহার করে কোনো কাজে সফলতা পেতে তা কাজে লাগান।
২৪. উপযুক্ত ভূমিকায় অবতীর্ণ হোন। সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করুন।
২৫. নিজের ভাবমূর্তি নতুনভাবে তৈরি করুন। অন্যরা আপনাকে যেভাবে দেখে তা বাদ দিন।
২৬. নিজেকে পরিচ্ছন্ন রাখুন। অন্য কার্যক্রমের মাধ্যমে যেন আপনার হাতে নোংরা না লাগে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।
২৭. কাছাকাছি মানুষদের বিশ্বাস ও প্রয়োজন অনুযায়ী কাজ করুন যেন নিজেদের একটা বন্ধন গড়ে তোলা যায়।
২৮. আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কাজ করুন। কোনো কাজ যদি আপনার নখদর্পণে থাকে তাহলে তা নিয়ে কোনো দ্বীধার মানে হয় না।
২৯. কাজ শুধু শুরু করলেই হয় না, শেষ করতে হয়। তাই কাজ ভালোভাবে সম্পন্ন করার জন্য পরিকল্পনা করুন।
৩০. আপনার অর্জনকে স্বাভাবিক করুন। এমনভাবে অনুশীলন করুন যেন অর্জনটি স্বাভাবিক কাজ বলেই মনে করে অন্যরা।
৩১. অন্যদের এমনভাবে নিয়ন্ত্রণ করুন যেন তারা তা বুঝতেও না পারে। এক্ষেত্রে তাদের হাতে ক্ষমতা রয়েছে এমন অনুভূতি তৈরি করতে হবে।
৩২. মানুষের কল্পনাশক্তি বাড়াতে সহায়তা করুন। তাদের এ কল্পনাশক্তিকে কাজে লাগান।
৩৩. অন্যের দুর্বলতা নির্ণয় করুন। প্রক্যেকের কোনো না কোনো দুর্বলতা থাকে। এটি আপনার কাজে লাগবে।
৩৪. নিজের মতো করে চলতে অবিচল থাকুন। অন্যরা যাই করুক না কেন, তাতে আপনার বিচলিত হওয়ার প্রয়োজন নেই।
৩৫. সময় মেনে চলুন। তাড়াতাড়ি কোনো কাজ করার প্রয়োজন নেই আবার দেরি করাও যাবে না। সঠিক সময়ে কাজ করতে হবে।
৩৬. নিজের যা নেই তা উপেক্ষা করুন। এসব বিষয় নিয়ে মাথা ঘামানোর কোনো প্রয়োজন নেই।
৩৭. নিজের কাজের মাধ্যমে উজ্জ্বল উপস্থিতি তৈরি করুন। নিজের শক্তিমত্তা এমনভাবে প্রদর্শন করুন যেন অন্যরা তা দেখে সম্মান করে।
৩৮. নিজের মতো করে চিন্তা করুন। এক্ষেত্রে অন্যের বিষয়গুলো মাথায় রাখলেও তাদের মতো করে চিন্তা করা যাবে না। কিন্তু আচরণ করুন অন্যদের মতোই।
৩৯. পানি শান্ত করে মাছ ধরুন। শত্রুকে উত্তেজিত করে নয় বরং তাকে ঠাণ্ডা করেই নিজের কাজ সমাধান করুন।
৪০. বিনামূল্যের জিনিস বর্জন করুন। যেসব জিনিস অন্যরা বিনামূল্যে দিতে চায় তার পেছনে নির্দিষ্ট একটি কারণ আছে।
৪১. বড় কোনো মানুষের জুতা পায়ে দিলেই বড় হওয়া যায় না। তাই এজন্য নিজের মাপমতো জুতাই পরতে হবে।
৪১. ভেড়ার পালকে দূর থেকে ভয় দেখিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। এ কাজে দক্ষতা অর্জন করুন।
৪২. অন্যের হৃদয় ও মন সম্পর্কে জানুন। এ বিষয়গুলো নিজের কাজে লাগান।
৪৩. আয়নাতে নিজের অনেক বিষয় পর্যবেক্ষণ করা যায়। আবার নিজের শত্রুর অনেক বিষয়ও আয়নার মতো করে অনুকরণ করতে হয়।
৪৪. পরিবর্তনের পেছনে দৌড়ান। পরিবর্তন সব সময়েই করতে হবে। কিন্তু একবারে বেশি পরিবর্তন নয়, অল্প অল্প করেই এগোতে হবে।
৪৫. পুরোপুরি নিখুঁত কেউই নয়। তাই নিজেকে পুরোপুরি নিখুঁত বলে তুলে ধরার চেষ্টা করা বৃথা। এ কাজ থেকে বিরত থাকাই ভালো।
৪৬. যুদ্ধক্ষেত্রে কখনো কখনো থেমে যেতে হয়। এক্ষেত্রে কখন থামতে হবে তা শিখে নিন।
৪৭. পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত থাকুন। এক্ষেত্রে পরিকল্পনা করে রাখুন আগেভাগেই। সব সময় নতুন বিষয় গ্রহণ করতে প্রস্তুত থাকুন।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.