হার্ট অ্যাটাক হলে কী করবেন

ডাheart-attack. লিয়াকত হোসেন তপন :: হার্ট অ্যাটাক হলে কী করবেন? এটা খুবই সাধারণ একটা প্রশ্ন। আধুনিক বিশ্বে অপরিণত বয়সে মৃত্যুর অন্যতম কারণ হার্ট এ্যাটাক। হার্ট অ্যাটাকের জন্য কোনো একক কারণকে দায়ী করা যায় না। কারণসমূহের চিকিৎসা/প্রতিরোধ ও জীবনযাপন ব্যবস্থায় পরিবর্তনের মাধ্যমে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা প্রতিহত করা যায়। পরিবর্তিত জীবন ব্যবস্থায় অভ্যস্ত ব্যক্তির হার্ট অ্যাটার্ক হলে সেই আঘাতের তীব্রতা, মাত্রা, যন্ত্রণা এবং জটিলতা অনেক কম হয়।
যাদের উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ধূমপান/মদ্যপানের অভ্যাস, চর্বির আধিক্য কিংবা পরিবারে হার্ট অ্যাটাকের ইতিহাস আছে তাদের ক্ষেত্রে বুকে ব্যথা হলে হার্ট অ্যাটাক (মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন/আনস্ট্যাবল এনজাইনা) চিন্তা করে তাড়াতাড়ি চিকিৎসা শুরু করা উচিত। হৃদযন্ত্রের সমস্যার চিকিৎসার জন্য সময় অপচয়ের পূর্বে সঠিক চিকিৎসা শুরু হলে হার্ট অ্যাটাকের জটিলতা ও অকাল মৃত্যুর সম্ভাবনা অনেক কমে যায়।
হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ কী কী?
১. বুকে অতুলনীয় তীব্র ব্যথা,
২. বুকে চাপ/যন্ত্রণা/ভারী লাগা,
৩. বিষম খাওয়া,
৪. দম বন্ধ হওয়া/শ্বাস কষ্ট,
৫. প্রচুর ঘাম,
৬. বমি বা বমির ভাব,
৭. অনাগত মৃত্যুর ভয়।
হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসা
চিকিৎসার জন্য রোগীকে দ্রুত নিকটস্ত হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যেতে হবে। সন্নিকটে হৃদরোগের চিকিৎসা সুবিধা সংবলিত হাসপাতাল থাকলে সেখানে যাওয়াই উত্তম। হাসপাতালে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে ধারাবাহিক চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।
হাসপাতালে পৌঁছার পূর্বে বাসা/কর্মস্থল/রাস্তায় যা করতে হবে
১. পর্যাপ্ত আলো বাতাস নিশ্চিতকরণ।
২. জিহ্বার নিচে দুই চাপ নাইট্রেট ¯েপ্র বা একটি নাইট্রেট ট্যাবলেট দিতে হবে।
৩. দ্রুত হাসাপাতালে পৌঁছার ব্যবস্থা।

শেষ কথা
আদর্শ জীবনযাপন, রক্তচাপ ও রক্তের শর্করা সঠিক মাত্রায় রাখা, নিয়মিত ব্যায়াম, ধূমপান ও মদ্যপান বর্জন, আলগা লবণ পরিহার, তেল/চর্বি/মিষ্টি কম খাওয়া, শাক-সবজি বেশি খাওয়া, উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণ ও দুশ্চিন্তামুক্ত জীবনযাপনের মাধ্যমে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি থেকে দূরে থাকতে হবে। হার্ট অ্যাটাক হলে নির্ভীক চিত্তে সময়মতো যথাসাধ্য চিকিৎসা করাতে হবে। মানুষের হার্ট একটি, তাই হার্টের প্রতি যতত্নশীল হতে হবে।

লেখক :: হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসক, মেডিনোভা মেডিকেল সার্ভিসেস
বাড়ি-১১, সোনারগাঁও জনপথ

Scroll to Top