উড়ন্ত গাড়ি এখন আর কল্পনায় নয়, বাস্তবে

উড়ন্ত গাড়ি এখন আর কল্পনায় না। পৃথিবীতে দিন দিন প্রযুক্তি উন্নত হচ্ছে। অনেক দিন ধরেই মানুষের কল্পনা ছিল ব্যস্ত পৃথিবীর যানজট এড়িয়ে আকাশে গাড়ি নিয়ে চলবে। বাস্তবেই ১ জুলাই সর্বপ্রথম স্লোভাকিয়ার আকাশে গাড়ি উড়ল।

এই এয়ারকারটি সর্বপ্রথম ভ্রমণ করে স্লোভাকিয়ার নিট্রা শহর থেকে রাজধানী ব্রাটিসলাভা পর্যন্ত।
এ ভ্রমণে সময় লেগেছে ৩৫ মিনিট। ৩৫ মিনিটের মধ্যে এটি কন্ট্রোলের জন্য চালককে মাত্র ২মিনিট ১৫ সেকেন্ড মনযোগ দিতে হয়েছে। তাতে ধারণা করাই যায় যে, এ গড়িটি কতটা কন্ট্রোল পাওয়ার সম্পন্ন গাড়ি।

এয়ারকারটি যখন আকাশে থাকবে, ঘন্টায় সর্বোচ্চ ১৯০ কিলোমিটার বেগে ছুটতে পারে। এ গাড়িতে ২ জন মানুষ বা সর্বোচ্চ ২০০ কেজি পর্যন্ত বাহন করা যাবে।

গাড়িটির উদ্ভাবক স্টিফেন ক্লেইন। তিনি গাড়িটি সম্পর্কে এক সাক্ষাতকারে বলেন-
এটি সত্যিই দুর্দান্ত একটি আবিস্কার, এটি নিয়ন্ত্রণে নতুন কিছু ব্যবহার করা হয়েছে। এটি ভার্চুয়াল পৃথিবীকে আরেক ধাপ এগিয়ে নেবে। একদিন আপনিও চাইবেন এটি কিনতে।

তাহলে, বোঝাই যাচ্ছে- এটি যখন মার্কেটে আসবে পৃথিবী নতুন এক মাইফলক অর্জন করবে।

এটি শুধু যে আকাশপথেই চলবে এমনটি নয়। এটি রাস্তায় ছুটতে পারে আরো বেশি গতিতে। মনে করা হচ্ছে- পরবর্তী প্রজন্ম এটি রেসের জন্য ব্যবহার করবে।

এয়ারকারটিকে রাস্তায়ও প্রাথমিক পরীক্ষা চালানো হয়েছে। খুব শিগগিরই অস্ট্রেলিয়ার একটি মরুভূমিতে এর রেস অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

সর্বপ্রথম রাশিয়ার একটি স্টেডিয়ামে এয়ারকারের প্রদর্শনী করা হয়েছিল, যার নাম ছিল রাশিয়ার হোভার ট্যাক্সি। তবে এটি সচারাচর সকল রাস্তায় চলতে পারবে না। আর পার্কিং -এর জন্য ভিন্ন জায়গা তৈরি করতে হবে। এ গাড়ি ৩০০ কেজি ওজন বহন করতে পারবে।

কিন্তু এখন প্রশ্ন উঠতেই পারে যে, এত প্রযুক্তির মধ্যে প্রকৃতপক্ষে মানুষ কি খাপ খাইয়ে নিতে পারবে?
এটি কি আসলে পারবে এত এত ট্রাফিক জ্যামের বিরক্তি থেকে মানুষকে মুক্তি দিতে?
আপনার মতামত জানান মন্তব্যে।

Exit mobile version