রূপকথার গল্পে শোনা যায়, রাজকন্যাকে বিভিন্ন অপশক্তি থেকে রক্ষার জন্য বাইরের আলোবাতাস থেকে মুক্ত রাখা হতো। বাস্তবেও এমনই এক ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায়, তবে এর পরিণাম হয়েছে উল্টো।
সেখানে এক মা তার মেয়ের জন্মের পর থেকে ৭ বছর বয়স পর্যন্ত একটি বদ্ধ ঘরে তাকে আটকে রাখে। যেখানে ছিল তেলাপোকা ও পোকামাকড়ের আবাস। ৭ বছর পর্যন্ত সে সূর্যের আলো দেখেনি। তাকে ভালো খাবার দেয়া হয়নি। এমনকি কথা বলতেও দেয়া হয়নি কারও সঙ্গে।
২০০৫ সালের ১৩ জুলাই পুলিশ সেই মেয়েকে বন্দিদশা থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করে।
মেয়েটির নাম ড্যানিয়েল ক্রকেট; সংক্ষেপে ড্যানি। ৭ বছর বয়সেও সে হাঁটতে, খেতে কিংবা কথা বলতে পারত না। তার ওজন ছিল ২০ কেজির মতো এবং দেহের আকার ছিল অদ্ভুত রকমের।
উদ্ধারের পর ২০০৭ সালে তাকে দত্তক নেন বার্নি ও লিয়েরো দম্পতি। গত সেপ্টেম্বরে তার বয়স হয়েছে ১৯ বছর। কিন্তু এখনও তার আচরণের কোনো পরিবর্তন ঘটেনি।
দক্ষিণ ফ্লোরিডা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশুরোগ চিকিৎসাবিষয়ক পরিচালক ড. ক্যাথলিন আর্মস্ট্রং বলেন, ৮৫ শতাংশ শিশুর মানসিক বিকাশ ঘটে ৫ বছর বয়সের মধ্যে।
ড্যানিকে জন্মের পর ৭ বছর পর্যন্ত আটকে রাখার কারণে তার বুদ্ধিবৃত্তির বিকাশ ঘটেনি। সে এখন পরিবেশগতভাবে একজন প্রতিবন্ধী।
এ ঘটনায় দেশটির পুলিশ তার মা মাইকেল ক্রকেটকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশের কাছে দেয়া বক্তব্যে তার মা জানান, সে একজন বিধবা। তাই তার মেয়েকে সব বিপদ থেকে রক্ষা করতে এ ধরনের কাজ করেছে।
সূত্র: মেইল অনলাইন