নিজের ব্যক্তিত্ব জানুন নামের অদ্যাক্ষরে

কারো নামের প্রথম অক্ষর দিয়ে জানা যাবে তার ব্যক্তিত্ব কেমন! কারণ নামের প্রথম অক্ষর ব্যক্তিত্বে প্রভাব ফেলে! হ্যাঁ, সংখ্যা জ্যোতিষ অনুযায়ী ব্যাপারটা এমনই- যেভাবে মূলাঙ্ক এবং ভাগ্যাঙ্ক ব্যক্তির জীবনকে প্রভাবিত করে, সেভাবেই নামেরও প্রভাব পড়ে। এবার আসুন নামের প্রথম অক্ষর কীভাবে ব্যক্তিত্বকে প্রভাবিত করে তা জানি।

A– যদি কোনো মেয়ে বা ছেলের নাম ইংরেজির A অক্ষর দিয়ে শুরু হয়, তা হলে এমন ব্যক্তি খুবই আকর্ষক হয়ে থাকেন। এই অক্ষরের ব্যক্তিরা ভালোবাসা এবং যে কোনও সম্বন্ধকে খুব গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। কিন্তু এরা খুব বেশি রোম্যান্টিক হন না। সমস্ত কিছুই এরা খুব দেরিতে পান। বহু বাধা অতিক্রম করে সেই সমস্ত জিনিস লাভ করেন তারা। কিন্তু সাফল্য পেতে শুরু করলে এদের পিছনে ফিরে তাকাতে হয় না। সাফল্যের চূড়ায় থাকেন এরা। জীবনে সংঘর্ষ করতে হয়। কিন্তু অবশেষে নিজের লক্ষ্য জয় করেন। এদের মনের জোড় খুব একটা না-থাকলেও, দরকারের সময়ে এরা অপ্রত্যাশিত কাজ করে ফেলেন। তবে এরা রাগী মেজাজের। এরা লোকেদের সঙ্গে দেখা করতে এবং অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পছন্দ করেন। পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন।

B– এই অক্ষর দিয়ে যাদের নাম শুরু হয়, তারা খুবই সংবেদনশীল। ছোট-ছোট কথাও তাদের ওপর প্রভাব বিস্তার করে। আবার ছোট-ছোট কথাতেই এরা খুশি হয়ে যান। এরা ভুল থেকে শিক্ষা নেন এবং নিজেকে শুধরানোর চেষ্টা করেন। B অক্ষরের নামের ব্যক্তিরা খুব রোম্যান্টিক। B অক্ষরের লোকেরা সাধারণত প্রেম বিবাহ করে থাকেন। বাহ্যিক সৌন্দর্য এদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। টাকাকেও গুরুত্ব দিয়ে থাকেন এরা। সাধারণত সাহসী। তাই এই অক্ষরের লোকেরা সাধারণত সেনা বা বিপদসঙ্কুল ক্ষেত্রে চাকরি করেন। নিজের পরিশ্রমের ওপর সম্পূর্ণ বিশ্বাস রাখেন। সাধারণত এই অক্ষর দিয়ে যাদের নাম, তারা ধনী হয়ে থাকেন। তবে মুডি স্বভাবের কারমে অনেকে তাদের অহংকারী মনে করে থাকেন। খুব একটা বন্ধু বান্ধব থাকেন না। তবে কোনও বন্ধু থাকলে তার সঙ্গে খুব গভীর সম্পর্ক রাখেন এরা।
C– এরা সকলের সঙ্গে ঘোলামেলা করতে পারেন। সব সময় হাসি-খুশি থাকেন। এরা ভাবুক স্বভাবের। এরা স্পষ্টবক্তা। তবে ইচ্ছা করে কাওকে কষ্ট দেন না। ভালোবাসায় এদের অগাধ বিশ্বাস। এই অক্ষর দিয়ে যাদের নাম, তারা ভালো দেখতে হন। যে কেরিয়ারই বাছুন না-কেন, উন্নতি অনিবার্য। অর্থাভাবে থাকেন না।
D– যে কোনও মূল্যে নিজের পছন্দের জিনিস হাসিল করে থাকেন এরা। কাজের প্রতি একনিষ্ঠ। আপসহীন হন। লক্ষ্যে না-পৌঁছনো পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যান। তাই এরা জেদিও হয়ে থাকেন। পরিশ্রমী হন। সরস্বতী এবং লক্ষ্মী– উভয়ের আর্শীবাদ পান এরা। এরা নতুন কিছু করতে চান। এদের কাছ থেকে অবশ্যই কিছু না-কিছু শেখা যায়। জেদি হওয়ায় অনেকে এদের অহংকারী মনে করেন।
E– এই অক্ষর দিয়ে যাদের নাম শুরু হয় তারা খুব বেশি কথা বলেন। হাসি-ঠাট্টা করে থাকেন খুব। তবে বেশি কথা বলার কারণে সবসময় সমস্যায় পড়ে যান। এরা যেমন ব্যবহার করেন, তেমনই ব্যবহার আশা করে থাকেন। তা না-হলে কড়া কথা শুনিয়ে দেন। এর খুব বেশি চিন্তা-ভাবনা করেন না। চাহিদা এবং প্রয়োজন অনুযায়ী শিক্ষা, ব্যবসা এবং অর্থের অধিকারী হন। এরা সবসময় হাসিখুশি থাকেন। এদের সকলেই খুব পছন্দ করে।
F– এই অক্ষর দিয়ে যাদের নাম শুরু হয়, তাদের জীবনে ভালোবাসার স্থান সর্বোপরি। এরা প্রয়োজনের বেশি ভাবুক হয়। এই অক্ষরের নামের লোকেরা লেখক হয়ে থাকেন। যেখানে যান, সেখানে সকলকে আপন করে নেন। এরা খুব আকর্ষক এবং রোম্যান্টিক। এরা সহজেই সকলকে সাহায্য করে থাকেন। খুব আত্মবিশ্বাসী। জীবনে সমস্ত কিছুর মধ্যেই ভারসাম্য বজায় রাখেন এরা।
G– এই অক্ষরের নামের ব্যক্তির মন খুব পরিষ্কার। তাই অনেক সময় সমস্যার সম্মুখীন হন এরা। একই ভুল বার বার করেন না। ভুল থেকে শিক্ষা নেন। এদের বন্ধুর সংখ্যা কম, শান্তিপ্রিয়, আত্মবিশ্বাসী। কিন্তু রেগে গেলে কারও কথা শোনেন না। কম কথা বলেন।
H– এই অক্ষরের নামের লোকেরা খুব সংবেদনশীল। নিজের মনের কথা কারও সামনে প্রকাশ করেন না। এমনকি দুঃখে বা আনন্দেও কাউকে কিছু বলেন না। এই অক্ষরের নামের ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব খুবই রহস্যময়। নিজের সম্মান নিয়ে খুব চিন্তিত থাকেন। যাদের নাম H অক্ষর তারা খুব বুদ্ধিমান হন। এরা সাধারণত রাজনীতি এবং প্রশাসনিক ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত থাকেন। কারও প্রতি নিজের ভালোবাসা সহজে ব্যক্ত করেন না। কিন্তু কাউকে ভালোবাসলে মন-প্রাণ দিয়ে ভালোবাসেন। বৈবাহিক জীবন সুখী হয়। কারও সঙ্গে বন্ধুত্বও করেন না এবং কারও সঙ্গে শত্রুতাও করেন না। খুব অর্থ উপার্জন করেন।
I– এই ব্যক্তিরা শুধুমাত্র ভালোবাসার ভাষা বোঝেন। ভালোবাসা দিয়েই তাদের মন জয় করা যায়। এরা খুব ভাবুক। এরা মাথা দিয়ে কোনও কিছু ভাবেন না। মনের কথা শোনেন। তাই অনেকেই এদের সহজে বোকা বানিয়ে দেয়। সবসময় মনের কথা শোনার জন্য অনেক কিছুই হারিয়ে থাকেন এরা। জীবনে অনেক কিছু পেয়ে থাকলেও, তার সুখ কমই ভোগ করতে পারেন। শিক্ষার ক্ষেত্রে বিশেষ জ্ঞান রাখেন। অর্থাভাব হয় না। বিদেশ যাওয়ার সুযোগ পান।
J– সম্বন্ধের প্রতি সত্‍‌ এবং বিশ্বস্ত। শরীরের পাশাপাশি এদের মনও খুব সুন্দর হয়। খুব নখরবাজ। বাছবিচার রাখেন। যা চান তাই নিজের জোরে হাসিল করে থাকেন। টাকা, সম্মান এবং ভালোবাসা– সবই এদের কাছে থাকে। জীবনে খুব উন্নতি করেন। এই অক্ষর দিয়ে যাদের জীবনসঙ্গীর নাম, তারা খুব ভাগ্যশালী।
K– এরা খুব ঠোঁটকাটা। যা মনে থাকে তাই বলে দেন। কোনও কথা বলার আগে কিছু ভাবেন না। নিজের ব্যাপারে ভাবতে পারেন। নিজের লাভের জন্য যে কোনও পর্যায়ে যেতে পারেন। অনেক অর্থ উপার্জন করেন। কিন্তু মান-সম্মানের তোয়াক্কা করেন না। এদের সকলেই ভয় পায়। এই অক্ষর দিয়ে যাদের নাম, তাঁদের বেশির ভাগই ব্যবসায়ী হয়ে থাকেন। ঝুঁকি নিতে ভালোবাসেন। এরা দেখতে খুব সুন্দর। অনেকেই এদের প্রতি আকর্ষিত হন। বাহ্যিক সৌন্দর্য পছন্দ করেন।
L– ভালোবাসা এবং রোম্যান্সই এদের কাছে সব। সব কথাই মন দিয়ে ভাবেন। যে কোনও সম্পর্ককে খুব গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। কাউকে কষ্ট দেন না। ছোট ছোট জিনিসেই এরা খুশি থাকেন। সমাজ এবং পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সাফল্য লাভ করেন। সবসময় হাসি-খুশি থাকেন এরা। সাহিত্যকে কেরিয়ার হিসেবে বেছে নেন। অর্থাভাব হয় না।
M- এরা খুব ভাবুক স্বভাবের। সব সময় গভীর চিন্তা-ভাবনায় ডুবে থাকেন। এ কারণে এরা অন্যের জন্য ঘাতক প্রমাণিত হতে পারেন। তাই এমন ব্যক্তিকে কখনও বিরক্ত করেবন না। কোনও কিছু একবার ধরে নিলে এরা সহজে ছাড়তে চান না। ভাগ্য এদের সঙ্গে থাকেন। তাই অর্থ এবং সম্মান– দুই-ই এদের হাতের মুঠোয় থাকে। এই অক্ষর দিয়ে যাঁদের নাম শুরু হয়, তারা রাজনৈতিক ক্ষেত্রকে নিজের কেরিয়ার হিসেবে নির্বাচিত করেন। এরা সুবক্তা এবং লেখক।
N- এই অক্ষর দিয়ে যাদের নাম শুরু হয়, তারা স্বাধীনতা পছন্দ করেন। অন্য কারও কথা শোনেন না। কখন কী করে বসবেন, তা এরাও জানেন না। এরা সবসময় নিজের ব্যাপারে ভাবেন। যা পছন্দ হয়, তা-ই পাওয়ার ইচ্ছা রাখেন। তবে তার জন্য এরা কোনও পরিশ্রম করতে নারাজ। প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ঠোঁটকাটা। স্বার্থপর। বাইরে থেকে শান্ত মনে হলেও, খুব বেশি আক্রমণাত্মক। ধীরেসুস্থে কাজ করতে পছন্দ করে। নিজের সমালোচনা পছন্দ করেন না। মৌলিক জিনিসের অভাব থাকে না। লক্ষ্মীর কৃপাধন্য হয়ে থাকেন।
O- এই অক্ষর দিয়ে যাদের নাম শুরু হয়, তারা খুব লাজুক স্বভাবের হয়ে থাকেন। কিন্তু কখনও কখনও এরা এমন কোনও কাজ করে ফেলেন, যা অনেকে করার কথাই ভাবতে পারে না। এরা খুব আকর্ষক। সকলেই এদের পছন্দ করে। এ কারণে প্রায়ই এরা অফিসে শীর্ষপদের অধিকারী হয়ে থাকেন। ভালোবাসা এবং সম্বন্ধ এদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই অক্ষর দিয়ে যাদের নাম, তারা সাধারণত প্রেম বিবাহ করে থাকেন। জীবনে খুব উন্নতি করেন, সকলকে সঙ্গে নিয়ে চলতে পারেন।
P- দেশ, দুনিয়া, ঘর, পরিবার সকলের ব্যাপারেই এরা ভাবেন। নিজের সম্মানই এদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, যার জন্য এরা যে কোনও ধরনের ত্যাগ স্বীকার করতে পারেন। নিজেদের পৃথক সিদ্ধান্ত থাকে, তাই কোনও ধরনের আপস করেন না। এরা নিজের ভাবনা অন্যের ওপর চাপিয়ে থাকেন, তাই নিজের বাড়িতেই বিরোধের সম্মুখীন হতে হয়। এরা খুব চালাক। তাই এই নামের লোকেরা সাধারণত ব্যবসায়ী। ভালো পরিমাণে অর্থ থাকে। এরা খুব আকর্ষক।
Q- এরা খুব ক্রিয়েটিভ। খালি বসে থাকে এদের এক্কেবারে না-পছন্দ। জীবনের প্রতি এদের দৃষ্টিভঙ্গী খুবই দার্শনিক। ছোট ছোট জিনিসেই খুশি থাকেন। এদের কাছে নিজের কাল্পনিক পৃথিবীই সবকিছু। জীবনে অনেক কিছু পেতে হবে– এমন কোনও ধারণা এদের মধ্যে নেই। তবে প্রয়োজনীয় সমস্ত কিছুই এরা পেয়ে থাকেন। নিজের পৃথিবীতেই এরা হারিয়ে থাকেন, অন্যের অনিষ্ট করা এদের স্বভাব নয়। কিন্তু নিজের স্বভাবের জন্য এরা লোকের কাছে হাসির পাত্রে পরিণত হন। খুব ভালো জীবনসঙ্গী। এরা সাধারণত কম রাগ করেন। কিন্তু এক বার রেগে গেলে এদের শান্ত করা খুব কঠিন।
R- এরা শুধু নিজেকে নিয়েই থাকেন। কম কথা বলেন, নিজের পৃথিবীতেই সর্বক্ষণ বিচরণ করেন এরা। কে কী বলল, কী করল তাতে এদের কিছু আসে যায় না। তাই বৈবাহিক জীবনে বচসা-বিবাদ লেগেই থাকে। সবসময় নতুন কিছু খুঁজে বেড়ান। এই অক্ষর দিয়ে যাদের নাম শুরু হয়, তারা জ্ঞানপিপাসু হয়ে থাকেন। তাই লেখক, দার্শনিকদের সঙ্গে এদের সখ্য বেশি। এই নামের লোকেরা সাধারণত বৈজ্ঞানিক হয়ে থাকেন। খুব দ্রুতগতিতে উন্নতি হয় এদের। কে কী বলছে, তা নিয়ে এদের কোনও মাথা-ব্যথা নেই। এ কারণে এদের বৈবাহিক জীবনে বচসাও বাধে। এরা মনের দিক দিয়ে খুব ভালো।
S- বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী হন এরা। খুব বেশি কথা বলেন। আবার খুব বেশি সমালোচিত হয়ে থাকেন। রহস্যময়, সহজে নিজের মনের কথা কাউকে জানান না। নিজের ভালোবাসার প্রতি খুব সতর্ক, সন্দেহ বাতিকগ্রস্ত হয়ে থাকেন। কারণ, এরা নিজের ভালোবাসা অন্যের সঙ্গে ভাগ করতে চান না। অর্থ এবং সম্মান দুই-ই লাভ করেন। নিজের জিনিস কারও সঙ্গে ভাগ করে নেন না। কিপ্টে, লোক দেখানো পছন্দ করেন। মনের দিক দিয়ে খারাপ হন না, তবে এই সমস্ত স্বভাবের কারণে অনেকের এদের ভুল বুঝে নেন।
T- যাদের নাম এই অক্ষর দিয়ে শুরু হয়, তারা খুব বুদ্ধিমান হয়ে থাকেন। তর্কশক্তি খুব ভালো। এরা মিডিয়া, ওকালতি এবং প্রশাসনিক ক্ষেত্রে খুব উন্নতি লাভ করেন। অর্থ এবং নাম অর্জন করলেও, ভালোবাসায় খুব কাঁচা। তবে এরা খুব কেয়ারিং। তবে নিজের মনের ভাব ব্যক্ত করতে পারেন না। সুখ-দুঃখও সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারেন না। সকলকে সুখি রাখতে এবং দুঃখ দূর করতে যান।
U- এই অক্ষর দিয়ে যাদের নাম শুরু হয়, তারা খুব বুদ্ধিমান এবং ভালো মনের মানুষ। ছোট ছোট কথাতেই এরা খুশি হয়ে যান এবং সকলকে সুখি করার চেষ্টা করেন। এদের মুখে হাসি লেগেই থাকে। দেরিতে হলেও জীবনে সাফল্য লাভ করেন। বাচ্চা ভালোবাসেন।
V- এরা স্বাধীনচেতা। কোনও বেড়াজালই এই অক্ষরের ব্যক্তির না-পছন্দ। মনের কথা শোনেন। জবরদস্তি কিছু করানোর চেষ্টা করলে, সেই কাজ কখনোই সফল হবে না। অন্যের মনের ভাব বুঝলেও, নিজের মনের ভাব কাউকেও জানান না। পারিবারিক এবং বৈবাহিক জীবনে সুখী হন।
W- এই অক্ষর দিয়ে যাদের নাম শুরু, তারা আধিপত্য বিস্তার করতে ভালোবাসেন। এরা ইগোইস্টিক। সব সময় তাদের কথা মতো চলতে হবে, এমনই ধারণা পোষণ করেন এরা। এদের কথা অনুযায়ী কাজ না-করলে সেখানে থাকেন না। অর্থ এবং প্রতিপত্তি– দুই-ই এরা পেয়ে থাকেন। কিন্তু এই দুই-ই এদের অভিমানী করে তোলে। যারা এদের সামনে নতিস্বীকার করে নেন, তাদের সঙ্গেই ভালো সম্পর্ক রাখেন।
X- সব কাজেই তাড়াহুড়ো করেন। ধৈর্য ধরে কোনও কাজ করেন না। কোনও কিছু পাওয়ার জন্য যত তাড়াহুড়ো করেন, তত তাড়াতাড়িই সেই জিনিস থেকে এদের মন সরে যায়। খুব পরিবর্তনশীল। কখন, কী করে বসবেন, তা নিজেরাও জানেন না। কিন্তু নিজের সমস্ত ইচ্ছা পুরো করেন। জীবনে সাফল্য লাভ করেন এই অক্ষরের নামের লোকেরা।
Y- নিজের মধ্যেই হারিয়ে থাকেন এরা। কম কথা বলেন, কিন্তু স্পষ্টবক্তা। তাই মাঝেমধ্যে অনেক রুঢ় কথাও বলে ফেলেন। একা থাকতে ভালোবাসেন। কিন্তু কোনও সম্পর্ক গড়ে তুললে খুব সততার সঙ্গে তা বজায় রাখেন। সংঘর্ষপূর্ণ জীবন, আপস পছন্দ করেন না। কেরিয়ার এবং জীবন, নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী গড়ে তোলেন। সেই কাজই করেন, যাতে এরা সিদ্ধহস্ত। অর্থ এবং প্রতিপত্তি– দুই-ই পান, তবে একটু দেরিতে। স্মৃতিশক্তি এবং কল্পনাশক্তি খুব প্রখর।
Z- লোক দেখানো পছন্দ করেন না। গম্ভীর প্রকৃতির, কিন্তু স্পষ্টবক্তা। এই অক্ষর দিয়ে যাদের নাম, তারা কাউকে প্রতারিত করেন না। সোজা-সাপটা, কিন্তু বোকা নন। সহজে বোকা বানানো যায় না। সাফল্য পেতে পারেন, এমন কোনও কাজ করা থেকেই বিরত থাকেন না। শিক্ষা জগতে এরা উন্নতি লাভ করেন।

Scroll to Top