প্রেমের টানে বাংলাদেশে মালয়েশিয়ান তরুণী!

প্রেমের টানে ঘর ছাড়ার ঘটনা সমাজে অহরহ দেখা গেলেও দেশ ছাড়ার ঘটনা এই আধুনিক যুগেও কিছুটা বিরল। তাও আবার কোনো কলেজশিক্ষার্থী তরুণী যদি একা একা দেশ ছাড়েন, সেটাকে আসলে বিরলই বলতে হবে। তেমন ঘটনারই জন্ম দিলেন মালয়েশিয়ার মেয়ে ফাতেমা বিনতে আব্দুর রহমান।

প্রেমের টানে নিজ দেশ ছেড়ে তিনি ছুটে এসেছেন বাংলাদেশে।সোমবার দুপুরে বাংলাদেশি প্রেমিক আশিকুর রহমান আশিকের সঙ্গে মালয়েশিয়ান তরুণী ফাতেমা হাজির হন ঢাকা জজ কোর্টের অ্যাডভোকেট মাহবুবু হাসান রানার চেম্বারে। উদ্দেশ বিয়ে করা। ফাতেমাকে দেখে উপস্থিত অনেকে প্রথমে মনে করেছিলেন তিনি হয়তো আদিবাসী সম্প্রদায়ের মেয়ে। কিন্তু ভুল ভাঙ্গান আশিক। জানান, মেয়েটি মালয়েশিয়ান। তার প্রেমিকা।

গত শনিবার মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশে এসেছেন। এখন তারা বিয়ে করতে চায়। আশিক জানায়, তারা এক লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করতে ইচ্ছুক। অর্থের এই পরিমাণে ফাতেমার কোনো আপত্তি আছে কিনা তা তার কাছে জানতে চান আইনজীবী রানা। কিন্তু তিনি কোনো কথা না বলে নির্বাক তাকিয়ে থাকেন। তবে ফাতেমা বিদেশি হওয়ায় দেনমোহর হিসেবে এক লাখ টাকা কম বিবেচনা করে আইনজীবী দুই লাখ টাকা ধার্য করে দেন।

আশিক জানান, ৮ বছর আগে তিনি মালয়েশিয়া যান কাজের সন্ধানে। ২০১৩ সালে তার সঙ্গে ফাতেমার পরিচয় হয় এবং ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্প্রতি দেশে ফিরে আসেন তিনি। কিন্তু তার মালয়েশিয়ায় ফিরে যেতে দেরি হওয়ায় বাংলাদেশে প্রেমিকের কাছে ছুটে আসেন ফাতেমা। শনিবার সকাল ৯টায় কুয়ালালামপুর থেকে তিনি একাই বিমানে করে ঢাকার হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। সেখান থেকে তাকে নিজ গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থানার মন্দিবাগে নিয়ে যায় আশিক।

তিনি আরো জানান, ফাতেমা কুয়ালালামপুরের একটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। মালয়েশিয়ায় তাদের মধ্যে বিয়েতে জটিলতা থাকায় তারা বাংলাদেশে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। কিছু দিন পরে তিনি স্ত্রীকে নিয়ে মালয়েশিয়ায় ফিরে যাবেন। সেখানে তিনি হয়তো স্থায়ী নাগরিকত্বও পাবেন।

Scroll to Top