‘বাঙালি জীবন দিবে কিন্তু গরু খাওয়া ছাড়বে না’

ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বিএসএফ সদস্যদের বাংলাদেশে গরু পাচার পুরোপুরি বন্ধ করতে বলেছেন, যেন বাংলাদেশের মানুষ গরু খাওয়া ছেড়ে দেয়। ফেসবুকে এর পক্ষে-বিপক্ষে পাঠকদের নানা প্রতিক্রিয়া উঠে এসেছে।

ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বিএসএফ সদস্যদের বাংলাদেশে গরু পাচার পুরোপুরি বন্ধ করতে বলায় পাঠক মঞ্জুর আলমের যৌক্তিক দাবি, ‘আমরা চাই শুধু গরু নয় বরং সকল ভারতীয় পণ্য আসা বন্ধ করা হোক।’

বাংলাদেশের অনেকেই রাগ করেছেন এই খবর জেনে। পাঠক মেহের তাজ খুবই চটে গিয়ে তার মত জানিয়েছেন এভাবে, ‘বাংলাদেশে কি গরুর অভাব আছে নাকি? আমরা কী খাবো তা আপনারা নির্ধারণ করার কে?’

ইসমাইল আবদুল্লাহর মন্তব্য, ‘ভারতেও ইলিশ মাছ পাচার বন্ধ করতে হবে যেন ভারতীয়রা ইলিশ মাছ খেতে না পারে।’

মাসুম আহমেদের মন্তব্য, ‘যে নেতা অন্য ধর্মের রীতিনীতি সহ্য করতে পারেনা তা কী করে বাকস্বাধীনতা, মুক্তচিন্তা হয়? এটাই সাম্প্রদায়িকতা। মিডিয়ার উচিত এদেরকে বয়কট করা।’

আহমেদ সোহেল নিশ্চিন্ত মনে জানিয়েছেন, বাংলাদেশেও প্রচুর গরু পাওয়া যায়।

পাঠক ইমরান তো বুঝেই উঠতে পারছেন না যে একজন রাজনীতিবিদ কী করে এমন কথা বলেন। তাই তার প্রশ্ন, এই রাজনীতিবিদকে রাজনীতি করার অনুমতি দিয়েছে কে ?

সাইফ উদ্দিন ইসলামের কথা, ‘বাঙালি জীবন দিবে কিন্তু গরু খাওয়া ছাড়বে না।’

আহমেদ শিমু, টুটুলসহ অনেকেই ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর কথাকে পাগলের প্রলাপের মতোই মনে করছেন।

আওয়াল হোসেনের সোজা কথা, ‘বাংলাদেশে কি গরু নাই যে গরু খাওয়া ছেড়ে দিতে হবে।’

পাঠক আলী আক্কাস এবার দেশি গরু খাবেন ভেবেই খুশি।

তবে শিশিরের মন্তব্য, ১,০০০ টাকা কেজি হলেও বাংলাদেশের মানুষ গরু খাবে৷ শুধু গরিবরা খেতে পারবে না ভেবে শিশির চিন্তিত।

রাফাত সালমান বাংলাদেশের কৃষকদের কথা ভেবে খুশি। তার মতে, বাংলাদেশে ভারত থেকে গরু পাচার বন্ধ হলে, ‘আমাদের রাখালরা গরুর দাম ও বাজার ফিরে পাবে।’

পাঠক সামরা আক্তারের তো হাসি পাচ্ছে এ খবর শুনে।

মোখলেস রহমানের মন্তব্য, ‘আমার মতে এটা বাংলাদেশের জন্য ভালো, কারণ ভারত বাংলাদেশে গরু রপ্তানি করে বছরে কোটি কোটি টাকা আয় করে। এটা বন্ধ হলে বাংলার মানুষ না খেয়েও মরবে না, আবার কোটি কোটি টাকাও বেঁচে যাবে।’

সাগর সিনহার ভাষায়, মোদি সরকারের এই গরু নিয়ে বাড়াবাড়ি করা ঠিক হচ্ছে না।

সূত্র: ডয়চে ভেলে

 

Exit mobile version