শীতলপাটি এখন বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায়

ইউনেস্কোর বিশ্ব নির্বস্তুক সংস্কৃতি ঐতিহ্যের (ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি) তালিকায় উঠেছে বাংলাদেশের শীতলপাটির নাম। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

এর আগে বাংলাদেশের বাউল সঙ্গীত, জামদানি বোনা ও মঙ্গল শোভাযাত্রা ইউনেস্কোর এ তালিকায় স্থান করে নিয়েছে।
এছাড়া গেলো ৩০ অক্টোবর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে বিশ্বপ্রামাণ্য ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দেয় ইউনেস্কো।

ইউনেস্কোর তালিকায় শীতল পাটিতে অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয় ২০১৩ সালে। ওই বছরের ১৭ ডিসেম্বর ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি মনিটরিং কমিটির ৯ম সভায় শীতলপাটিকে তালিকাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই বছরের ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশ জাদুঘর শীতলপাটির ওপর প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণের উদ্যোগ নেয়।

২০১৬ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর শীতলপাটি বুনন প্রক্রিয়া ইউনেস্কোর কাছে পাঠানো হয়। ২০১৭ সালের ২৮ অক্টোবর শীতল পাটিকে ঐতিহ্যে হিসেবে ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেয়।

দক্ষিণ কোরিয়ার জেজু দ্বীপে বর্তমানে চলছে বিশ্বের নির্বস্তুক ঐতিহ্য সংরক্ষণার্থে গঠিত আন্তর্জাতিক পর্ষদের সম্মেলন। এই সম্মেলনের শেষ পর্বে উঠে এসেছে বাংলাদেশের সিলেটের ঐতিহ্যবাহী কারুশিল্প ‘শীতলপাটি’।

জাতীয় জাদুঘরের সচিব মোহাম্মদ শওকত নবীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল এ সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে। প্রতিনিধি দলে রয়েছেন সিলেট অঞ্চলের দুই বিখ্যাত পাটিকর গীতেশচন্দ্র ও হরেন্দ্রকুমার দাশ। সম্মেলন স্থলে এই দুই পাটিকর তাদের বুননশৈলী উপস্থাপনা করছেন। একই সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে নিয়ে যাওয়া উন্নতমানের শীতল পাটি প্রদর্শন করা হচ্ছে সেখানে।

Scroll to Top