বাংলা বর্ষবরণের দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নারী লাঞ্ছনার ঘটনা তদন্তে দুটি কমিটি করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। আজ শনিবার বেলা সোয়া একটার দিকে ডিএমপির মুখপাত্র মনিরুল ইসলাম নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) এই যুগ্ম কমিশনার বলেন, নারী লাঞ্ছনার বিষয়টি তদন্ত করবে একটি কমিটি। অন্য কমিটি পুলিশের ভূমিকা ও দায়-দায়িত্ব খতিয়ে দেখবে।
মনিরুল ইসলামের ভাষ্য, সিসি ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে নারী লাঞ্ছনার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো অপরাধীকে শনাক্ত করা যায়নি। এ ছাড়া ওই দিন যাঁরা নিগৃহীত হয়েছেন, তাঁদেরও সন্ধান মেলেনি।
ডিএমপির এই মুখপাত্র বলেন, যদি কেউ নিগৃহীত হয়ে থাকেন, পুলিশের সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। তাঁদের পরিচয় গোপন রাখা হবে। এ ছাড়া তদন্তে প্রত্যক্ষদর্শীদেরও সহায়তা চাওয়া হয়েছে।
ঘটনার বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি। প্রত্যক্ষদর্শীর প্রামাণিক কোনো তথ্য থাকলে তা কমিটির আহ্বায়ক সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নাসরীন আহমাদের দপ্তরে লিখিতভাবে জমা দিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। ২৩ এপ্রিলের মধ্যে অফিস চলাকালীন সময়ে তা দিতে হবে।
নারী লাঞ্ছনার ঘটনা তদন্ত করে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলে আইজিপি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে আদালত রুল দিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল দেন।