নববর্ষের দিন টিএসসিতে নারীদের বস্ত্রহরণকারীদের পুলিশ আটক করা ও সিসি ক্যামেরা দেখে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে অনাগ্রহ দেখিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান।
সোমবার সকালে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব মন্তব্য করেন তিনি।
ড. মিজান বলেন, সমাজের বিভিন্ন অংশ থেকে প্রতিবাদ হওয়ার পর পুলিশ কিছুটা তৎপর হয়েছে। কিন্তু তা যেন লোক দেখানো না হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেও ঘটনার তদন্ত করা দরকার।
মিজানুর বলেন, ‘নববর্ষে যা ঘটেছে, তাতে কমিশন বিস্মিত, মর্মাহত ও লজ্জিত। আমরা সব নারীর কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। এ ঘটনা আবারও স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে-কী হিংস্রতা ও নগ্নতা আমাদের মনের গহিনে বাসা বেঁধেছে। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তারা কুৎসিত ও বিকারগ্রস্ত পাষ-।
গণমাধ্যমের উদ্দেশে মিজানুর রহমান বলেন, ‘এই ঘটনার সংবাদ তুলে ধরে গণমাধ্যম দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছে। তবে সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের খবরের ভিড়ে যেন এই সংবাদ হারিয়ে না যায়। গণমাধ্যম যেন নিয়মিত এ ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখে’।
সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের মেয়র প্রার্থীরা নারী নিপীড়ন নিয়ে কিছু না বলায় ক্ষোভ প্রকাশ করে মিজানুর বলেন, ‘আগামী দিনে যাঁরা নগরপিতা হবেন, তাঁদের নীরবতা আমরা বিচলিত। যৌন হয়রানি বন্ধে তাদেরও সুস্পষ্ট অঙ্গীকার চাই।’
মাহফুজা খানম বলেন, ‘এই উৎসব উপলক্ষে তিন স্তরের নিরাপত্তা ছিল। তাহলে কী করল তারা?