বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলাকে ঢাকাবাসীর ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। সোমবার রাতে নিজের ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে এমন মন্তব্য করেন জয়। রাত পৌনে ১১টায় জয় লেখেন, বিগত তিন মাস যাবৎ বাসে এবং গণপরিবহনে অগ্নীসংযোগ করে কমপক্ষে ১৬০জন হত্যা এবং আরও অসংখ্য মানুষকে আহত করায় ঢাকাবাসী খালেদা জিয়ার উপর ভীষণ ক্ষিপ্ত। আমি মনে করি যারা আজ তার গাড়ীবহরে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেছে তা তাদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে। আমরা আওয়ামী লীগ যেকোন সহিংসতা এবং এই ধরণের হামলা সমর্থন করি না, কিন্তু এটাও ঠিক যে আমরা জনগণের রাগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না।
সহিংসতার শিকার ঐ নিরপরাধ আক্রান্তদের ন্যায়বিচার প্রাপ্য। খালেদা জিয়া এবং বিএনপিকে তাদের জঘন্য এবং কাপুরুষোচিত জ্বালাওপোড়াও এর জন্য আইনের আওতায় আনা দরকার।গাড়িবহরে ইট নিক্ষেপ করাটা কোনো উপায় হতে পারেনা। উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার বিকেলে সিটি নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী প্রচার চালানোর সময় খালেদা জিয়ার গাড়িবহর রাজধানী ঢাকার কারওয়ান বাজারে হামলার শিকার হয়। এতে খালেদা জিয়ার গাড়ি অক্ষত থাকলেও তাঁর গাড়িবহরের অন্তত আটটি গাড়ি ভাংচুরের শিকার হয়।
এই হামলার পর বিএনপি বলেছে, চেয়ারপারসনের ওপর হামলা সরকারের পূর্বপরিকল্পনার অংশ। আসন্ন সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে পরাজয় নিশ্চিত জেনেই সরকার এ ধরনের সন্ত্রাসী তাণ্ডবের আশ্রয় নিয়েছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে তাঁর গাড়িবহরে হামলা করা হয়েছে। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপির চেয়ারপারসনের গাড়িবহরে হামলার ঘটনাকে নাটক বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, খালেদা জিয়া মাঠে নেমে নাটক করছেন।
নাশকতার জন্য খালেদা জিয়াকে আইনের আওতায় আনার প্রস্তাব করে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা জয় লিখেছেন, সহিংসতার শিকার ওই নিরপরাধ আক্রান্তদের ন্যায়বিচার প্রাপ্য। খালেদা জিয়া এবং বিএনপিকে তাদের জঘন্য ও কাপুরুষোচিত জ্বালাও-পোড়াওয়ের জন্য আইনের আওতায় আনা দরকার। গাড়িবহরে ইট নিক্ষেপ করাটা কোনো উপায় হতে পারে না।