পানির নীচেও যৌন হয়রানি!

18

পৃথিবীর কোথায় নিরাপদ মেয়েরা? ৪০ ফিট পানির নিচে গিয়েও যৌন হয়রানির কবল থেকে রক্ষা পাননি ২৩ বছরের কাব্য রামন। বন্ধুদের সাথে স্কুবা ডাইভিং সংস্থা ‘ড্রিমস ডাইভিং’ আয়োজিত প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন কাব্য। প্রশিক্ষকরা আরব সাগরের গভীরে পৌঁছে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে নৌকা থেকে একে একে রওনা হন। কাব্যকে তালিম দেয়ার জন্য তাকে আর সকলের কাছ থেকে বেশ খানিকটা দূরে নিয়ে যান প্রশিক্ষক ধীরেন্দ্র রাওয়াত। সমুদ্রপৃষ্ঠের প্রায় ৪২ ফিট নিচে ছাত্রীকে নিয়ে ডুব দেন তিনি। প্রশিক্ষকের হাতে ছিল পানির নিচে শ্বাসপ্রশ্বাসের জন্য প্রয়োজনীয় যাবতীয় অক্সিজেন ট্যাঙ্কসহ যন্ত্রপাতি। আচমকা নিস্তরঙ্গ সাগরতলে ধীরেন্দ্রর হাত কাব্যর শরীর স্পর্শ করে। তালিম দেয়ার জন্য নয়, তরুণী বুঝতে পারেন যে নিছক যৌন লালসা মেটাতেই তাকে ছোঁয়া হচ্ছে। ধীরেন্দ্রর হাতেই শ্বাসপ্রশ্বাসের যাবতীয় সরঞ্জাম থাকায় প্রাণভয়েই সাথে সাথে প্রতিবাদ করার সাহস পাননি কাব্য। আর তার এই অসহায়তার সুযোগ নিয়ে ক্রমে সাহসী হয়ে ওঠেন দুর্বৃত্ত প্রশিক্ষক। টানা ৪০ মিনিট ধরে পানির নিচে অবিরাম যৌন হেনস্তার শিকার হওয়ার পর নৌকায় ফেরেন কাব্য। এরপরই দলের সকলের সামনে তিনি জানতে চান প্রশিক্ষণের নিয়ম-কানুন। অন্য প্রশিক্ষকদের কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য পেয়ে এরপর সকলের সামনেই ধীরেন্দ্রর কাছে সরাসরি পানির নিচে থাকাকালীন তার আচরণ সম্পর্কে জানতে চান কাব্য। জেরার মুখে থতমত খেয়ে যান প্রশিক্ষক। নিজের অপরাধ স্বীকার করেন তিনি। এরপর আদালতে দুষ্কৃতিকারীর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেন কাব্য। ২০ দিন ধরে হাজতে আছেন ধীরেন্দ্র। অপরাধ প্রমাণিত হলে তার তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। প্রসঙ্গত, এর আগেও ধীরেন্দ্রর বিরুদ্ধে আরো দু’বার শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছিল।