গণপরিবহণ সংকটে ভোগান্তিতে রাজধানীবাসী

30

নির্বাচনের রেশ ধরে সোমবার সকাল থেকেই রাজধানীর রাস্তায় গণপরিবহণের সংকট দেখা দিয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন কর্মজীবী মানুষেরা। কাজে বের হয়ে গাড়ি না পাওয়ায় তারা নানা দুর্ভোগ মাথায় নিয়েই কর্মস্থলে যাচ্ছেন।

সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে এসব দুর্ভোগের চিত্র চোখে পড়ে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বেশিরভাগ গাড়ি নির্বাচনী কাজে পুলিশ নিয়ে যাওয়ায় এ অবস্থা। তবে পুলিশ বলছে, তিন ভাগের এক ভাগ গাড়ি নির্বাচনী কাজে ব্যবহারের জন্য নেওয়া হয়েছে। বাকিগুলো মালিকরা ইচ্ছে করেই বন্ধ রেখেছেন।

সকালে সুত্রাপুর থেকে কয়েকজন যাত্রী মতিঝিলে কর্মস্থলে যাবেন। অনেক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও কোনো গাড়ি না পেয়ে রিকশা ডাকেন তারা। কিন্তু রিকশারও  দ্বিগুন ভাড়া। এরপরও বাধ্য হয়েই বেশি ভাড়া দিয়ে অফিসে যেতে দেখা যায় তাদেরকে। আবার কেউ কেউ পায়ে হেঁটেই রওয়ানা হন অফিসের পথে।

পরিবহন মালিকদের কাছে গণপরিবহণ সংকটের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তারা জানান, পুলিশ ৩/৪ দিন আগে থেকেই গাড়ি রিকুইজিশন শুরু করেছে। গতকাল থেকে তা পুরোপুরি বাস্তবায়ন হচ্ছে। গতকাল রোববার একদিনেই চাহিদার প্রায় অর্ধেক গাড়ি রিকুইজিশন করে পুলিশ। আর বাকিগুলোও সোমবার ভোর থেকেই দখলে নেয়। তাদের মতে, চলাচলরত ৯০ শতাংশ গাড়িই পুলিশ নির্বাচনী কাজে ব্যবহার করছে।

সুত্রাপুর থেকে মোহাম্মাদপুর রুটে চলাচলকারি  মালঞ্চ পরিবহনের মালিক এনায়েত উল্লাহ জানান, ১৯টি গাড়ির মধ্যে ১৬টি পুলিশ নিয়ে গেছে। বাকি  তিনটি গাড়ি নষ্ট। সুতরাং এই রুটে গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে। আগামী ২৯ এপ্রিল গাড়ি ছাড়ার কথা রয়েছে। ফলে এ দুদিন এ রুটের যাত্রী সাধারণকে  ভোগান্তিতেই থাকতে হবে।

এ প্রসঙ্গে ডিএমপির মিডিয়া বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার এসএম জাহাঙ্গীর আলম সরকার রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘কিছু গাড়ি নেওয়া হয়েছে। নিয়ম মেনেই তা করা হয়েছে। সরকারী কাজে গাড়ি তো ব্যবহার করতেই হবে। এটি একটি জাতীয় ইস্যু। তবে কোনো পরিবহণের সব গাড়ি রিকুইজিশন করা হয়নি। তাছাড়া ভোটের দিন সকল প্রকার যানবাহন বন্ধ থাকবে। লোকজনেরও বাইরে যাওয়ার দরকার নেই। কারণ সেদিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার।’