রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার বঙ্গলতলি ইউনিয়নের বঙ্গলতলি শ্রাবস্তী বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ জ্ঞান জ্যোতি ভিক্ষুকে (৬৫) কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় অপর এক ভিক্ষুকে উত্তেজিত জনতা পিটিয়ে হত্যা করে বলে এলাকাবাসী ও পুলিশের ভাষ্য। তবে ওই ভিক্ষুর লাশ পাওয়া যায়নি।
গতকাল রোববার রাতে বৌদ্ধ বিহারে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর ভাষ্য, গতকাল রাত ১২টার দিকে জ্ঞান জ্যোতি ভিক্ষুকে কুপিয়ে হত্যা করেন রাজীব চাকমা (২৬) নামের অপর এক ভিক্ষু। জ্ঞান জ্যোতির চিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে এসে রাজীব চাকমাকে আটক করে। পরে তিনি গণপিটুনিতে মারা যান।
প্রত্যক্ষদর্শী বলে দাবি করা বঙ্গলতলি গ্রামের শংকর চাকমার ভাষ্য, জ্ঞান জ্যোতি ভিক্ষুকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা মানসিক-প্রতিবন্ধী রাজীবকে আটক করে। পরে শতাধিক লোক রাজীবকে বেদম পিটুনি দিলে তিনি মারা যান। শংকরের দাবি, কে বা কারা রাজীবের লাশ সরিয়ে ফেলেছে। রাজীব চাকমা এর আগেও একাধিক বার দা-ছুরি দিয়ে অন্যের ওপর হামলা চালিয়েছেন।
বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুল হক জানান, এলাকাবাসীর অনুরোধে জ্ঞান জ্যোতির ভিক্ষুর লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই শ্রাবস্তী বৌদ্ধ বিহারের কাছে বুঝে দেওয়া হয়েছে। তাঁকে খুন করার অভিযোগে স্থানীয় লোকজন রাজীবকে পিটুনি দেয় বলে শুনেছি। লাশ সরিয়ে ফেলায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। লাশ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।