তিন সিটি নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যয় সংক্রান্ত টান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) রিপোর্ট বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, তাদের রিপোর্ট হাতে পাবার পর তা যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন সিইসি। মাগুরা-১ আসনের উপ-নির্বাচন উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সিটি নির্বাচনে ২১ গুণ পর্যন্ত বেশি ব্যয় করা হয়েছে বলে টিআইবি যে তথ্য প্রকাশ করেছে সে প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, ‘নিশ্চয় আমরা প্রার্থীদের ব্যয়ের হিসাব নেই। তবে তার একটা সময় আছে। ইতোমধ্যে নির্বাচনী ব্যয় জমা দিতে চিঠি দিয়েছি। এখনও সময় শেষ হয়নি, প্রার্থীদের রিপোর্ট হাতে পেলে আমরা ব্যবস্থা নেব।’
তিনি বলেন, ‘কে কত গুণ বেশি খরচ করেছে বা না করেছে, এটা একেকজন একেকভাবে বলবেন, প্রার্থীরা হিসাব দিলে বুঝতে পারব। তবে এটা দুরুহ ব্যাপার। সব রিপোর্ট হয়তো সঠিকভাবে হয় না। আমাদের দেখতে হবে। তবে খুব কেয়ারফুল (সতর্ক) আছি।’
ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপ ও টিআইবি দাবি করেছে সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি, তাদের এ পর্যবেক্ষণ নির্বাচন কমিশন কীভাবে দেখছে- এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘ইলেকশন ওয়ার্কি গ্রুপ নিজেরা কোনো পর্যবেক্ষণ করে না। তাদের সঙ্গে অনেকগুলো নিবন্ধিত সংস্থা রয়েছে। আমরা প্রত্যেক সংস্থাকে পর্যবেক্ষণের অনুমতি দিয়েছি। এদের মধ্যে দুটি সংস্থার রিপোর্ট আমরা পেয়েছি। তারা বলেছে, দু’একটি বিছিন্ন ঘটনা ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে।’
টিআইবির রিপোর্ট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘টিআইবির রিপোর্টের বিষয়ে সংবাদপত্রে দেখেছি। এছাড়া তাদের কাছে থেকে একটি রিপোর্ট বুধবার সন্ধ্যায় আমরা পেয়েছি। সেই রিপোর্ট এখনও দেখতে পারিনি। সেটা দেখে বিবেচনা করব।’
মাগুরা-১ আসনের উপ-নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুষ্ঠু রয়েছে। এ ছাড়া নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
এর আগে বেলা ১১টায় ইসির সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে ইসি।
৩০ মে মাগুরা-১ আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।