চন্দনের আছে হাজারো গুনাগুন। রূপ চর্চার জন্য চন্দনের খ্যাতি যুগ যুগ ধরে। প্রাচীন কালে রূপ চর্চার অন্যতম একটি উপাদান ছিলো চন্দন। বিভিন্ন রকম কসমেটিক্স ও সুগন্ধীতে চন্দন ব্যবহৃত হয়। ত্বকের বিভিন্ন সমস্যায় চন্দন বেশ উপকারী। এতে আছে অ্যান্টিব্যকটেরিয়াল উপাদান যা ব্রণ ও ত্বকের অন্যান্য সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। চলুন জেনে নেয়া যাক ত্বকের যত্নে চন্দন ব্যবহারের কিছু নিয়ম-
ব্রণ দূর করতে
নিয়মিত চন্দন ফেস প্যাক ব্যবহার করলে ব্রণের উপদ্রব কমে যায়। এক্ষেত্রে চন্দন কাঠ গুঁড়ো করে পানি দিয়ে অথবা কাঠ ঘষে চন্দনের পেস্ট বানাতে হয়। আজ কাল বাজারে চন্দন কাঠের গুঁড়ো কিনতে পাওয়া যায়। দুই চা চামচ চন্দনের গুঁড়ো ও গোলাপ জল মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার এই প্যাক মুখে লাগিয়ে নিয়ে ১৫ মিনিট রাখুন। এবার ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। স্বাভাবিক ও তৈলাক্ত ত্বকের জন্য এই ফেস প্যাক খুবই উপকারী।
তৈলাক্ত ত্বক
চন্দনের ফেস প্যাক তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা দূর করে। চন্দন গুঁড়োর সাথে টমেটোর রস মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। এই পেস্ট মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
ত্বকের উজ্জ্বলতা
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে চন্দনের জুড়ি নেই। মসৃণ ও উজ্জ্বল ত্বকের জন্য হলুদ বাটা ও চন্দনের গুঁড়ো মিশিয়ে লাগান। ২০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের রঙ উজ্জ্বল হবে।
রোদে পোড়া
রোদে পোড়া ভাব দূর করতে চন্দন বেশ উপকারী। শসার রস, চন্দনের গুঁড়ো, দই ও গোলাপ জল একসাথে মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে রোদে পোড়া ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। ২০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলুন। এই ফেস প্যাক রোদে পোড়া ভাব কমাবে এবং রোদের পোড়ার কারণে ত্বক জ্বলা কমাবে।
বলিরেখা
বয়স পঁচিশের পরেই মুখে বলিরেখা পরা শুরু হয়। নিয়মিত চন্দন ব্যবহারে ত্বকে বলিরেখা কম পড়ে এবং ত্বক দীর্ঘদিন সজীব থাকে। সপ্তাহে অন্তত ৪ দিন চন্দন গুঁড়ো, গোলাপ জল ও গ্লিসারিন মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে নিন। ২০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
আকর্ষণীয় নজরকাড়া ত্বকের জন্য নিয়মিত চন্দন ব্যবহারের জুড়ি নেই। তবে চন্দন কেনার আগে নিশ্চিত হয়ে কিনুন সেটা ভেজাল মুক্ত কিনা। আসল চন্দন কাঠের হালকা মিষ্টি ঘ্রাণ আছে। নিয়মিত চন্দন ব্যবহার করে হয়ে উঠুন অপরূপা।