খাবারের স্বাদ বাড়াতে আজকাল অনেকেই রান্নায় লবঙ্গ ব্যবহার করে থাকেন। আস্ত কিংবা গুড়া যে কোন ভাবেই এটি রান্নায় ব্যবহার করা যায়। কিন্তু রান্না ছাড়াও লবঙ্গের আরও বিশেষ কিছু গুণ আছে। এক টেবিল চামচ পরিমাণ লবঙ্গ থেকে প্রায় ২১ ক্যালরি শক্তি পাওয়া যায়। এতে কোন কোলেস্টেরল নেই। শুধু তাই নয়, এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, আয়রন, থায়মিন, জিংক, রিবোফ্ল্যাভিন, এবং ক্যালসিয়াম রয়েছে, যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী।
কাজেই জেনে নিন স্বাস্থ্য সুরক্ষায় লবঙ্গের কিছু গুণাগুণ-
# লবঙ্গ কফ-কাশি দূর করে।
# পানির পিপাসা পেলে বা বুকে অস্বস্তি হলে সঙ্গে সঙ্গেই লবঙ্গ খেলে পিপাসা মেটে।
# লবঙ্গ হজমে সহায়তা করে।
# খিদে বাড়ায়।
# পেটের কৃমি ধ্বংস করে দেয়।
# লবঙ্গ পিষে মিশ্রি বা মধুর সঙ্গে খাওয়া ভালো। এতে রক্তে শ্বেত রক্তকণিকার পরিমাণ বাড়ায়।
# এটা অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের কাজ করে। হাঁপানির মাত্রা কমিয়ে আনে।
# দাঁতের ক্ষেত্রে এটি ভীষণ ভালো ওষুধ। দাঁতে ব্যথা হলে লবঙ্গ মুখে রাখলে ব্যাথা কমে যায়।
# মুখের দুর্গন্ধ দূর করে লবঙ্গ।
# লবঙ্গের সুগন্ধ বমিবমি ভাব দূর করে।
# সর্দিকাশির মহৌষধ হিসেবে এটি বহুবছর ধরেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
# সাইনোসাইটিস রোগে লবঙ্গ খুব উপকারী। সাইনোসাইটিসের রোগীদের চিকিৎসায় এটি ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
# লবঙ্গ কামোদ্দীপক। এর সুবাস অবসাদ দূর করে, শরীর ও মনের ক্লান্তি ঝরিয়ে দেয়। যৌনরোগেও এর বহুল ব্যবহার আর্য়ুবেদিক শাস্ত্রে রয়েছে।
# মানসিক চাপ লাঘব করে। তুলসি, পুদিনা, এলাচ ও লবঙ্গ মেশানো জলের শরবত মানসিক চাপ দূর করতে সহায়তা করে।
# লবঙ্গ ব্রণের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। ব্রণের দাগ দূর করতেও লবঙ্গের পেস্ট খুব কার্যকর।
# লবঙ্গ শরীর থেকে ক্ষতিকর উপাদানগুলো সরিয়ে রক্তকে পরিশোধন করতে ভূমিকা রাখে।