রোহিঙ্গা মুসলমানদের উদ্ধারের প্রতিবাদে বৌদ্ধদের বিক্ষোভ

মিয়ানমারে সাগরে ভাসা অভিবাসী প্রত্যাশী রোহিঙ্গা মুসলমানদের উদ্ধারের প্রতিবাদে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করতে যাচ্ছে রাখাইন রাজ্যের কয়েকটি কট্টরপন্থী বৌদ্ধ গোষ্ঠী। আজ রোববার বার্তা সংস্থা এএফপির এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমারের সবচেয়ে গরিব রাজ্য রাখাইনে সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গারা সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধদের পরিকল্পিত সাম্প্রদায়িক হামলার শিকার হচ্ছে। ২০১২ সালে বৌদ্ধদের আক্রমণে অনেক রোহিঙ্গাকে বাড়ি-ঘর ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে হয়েছে।
আক্রমণ থেকে বাঁচতে লক্ষাধিক রোহিঙ্গাকে দেশ থেকে পালাতে হয়েছে। তাঁদের অনেকে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
আন্তর্জাতিক চাপের মুখে সম্প্রতি বঙ্গোপসাগর থেকে প্রায় ৯০০ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে মিয়ানমারের নৌবাহিনী। পরে তাঁদের রাখাইন রাজ্যে ফিরিয়ে আনা হয়।
সাগরভাসা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে আনায় বেজায় চটেছে বৌদ্ধ গোষ্ঠী ও রাখাইনেরা। তারা রোহিঙ্গাদের উদ্ধার কাজ বন্ধ করতে কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর চাপ দিচ্ছে।
স্থানীয় কট্টরপন্থী গোষ্ঠীগুলো গতকাল শনিবার রাখাইন রাজ্যের সিত্তেতে এক বৈঠকে বসে। পরবর্তী বন্ধের দিনে এ বিষয়ে বিক্ষোভের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

রাখাইনদের সামাজিক অনুষ্ঠানের সমন্বয়ক ও ওই বৈঠকে অংশগ্রহণকারী সিও ন্যানিং বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে আসা বাঙালিদের রাখাইন রাজ্যে আনার প্রতিবাদে আগামী ১৪ জুন বিক্ষোভ হবে। বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিক্ষোভে যেন রাজ্যের অন্যান্য শহরের রাখাইনরা অংশগ্রহণ করে, এ জন্য তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।’
ন্যানিং আরও বলেন, ‘আমরা তাঁদের ফেরত পাঠাতে বলব। বাংলাদেশ সরকারকে অবশ্যই তাঁদের গ্রহণ করতে হবে। এ ব্যাপারে অবশ্যই আমাদের সরকারকে চাপ দিতে হবে।’
এদিকে, পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর ওই ৯০০ জনের ১৫০ জনকে বাংলাদেশে আগামীকাল ফেরত আনা হতে পারে। সীমান্ত দুই দেশের সীমান্তরক্ষীদের সঙ্গে আলোচনার পর এ সিদ্ধান্ত হয়।

Scroll to Top