জিনিউজ বিডি ডটকম : শীতের শুরুতেই শিশু ও বৃদ্ধদের মধ্যে শীতজনিত সর্দি, কাশি, জ্বর, হাঁপানির প্রকোপ দেখা দিয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তিন-চারদিন ধরে সর্দি-কাশি ও হাপানি নিয়ে মানুষ আসছেন তাদের কাছে। সবচেয়ে বেশি আসছেন কাঁশি নিয়ে।
চিকিৎসকেরা বলছেন- শীত শুরু হলেই যারা এসব রোগে ভুগে থাকেন তাদের ঠাণ্ডা এড়িয়ে চলা উচিত। গরম পানি পান করা উচিত। শুরুতেই গরম পানি পান করা হলে কাশি, হাপানিতে উপকার পাওয়া যাবে। শীত আসলেই ঠাণ্ডা-কাশি অথবা ইনহেলার ব্যবহার বেড়ে যায়। ফলে এসব ওষুধের ঘাটতি হয়। এবার অবশ্য এখনো ঘাটতির খবর পাওয়া যায়নি। শীতজনিত কারণে কিছু কিছু ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া হঠাৎ সক্রিয় হয়ে পড়ে এবং ডায়রিয়ার সৃষ্টি করে। এ সময় পানি ফুটিয়ে পান করা উচিৎ। পারলে গরম পানি সব সময় পান করা উচিৎ। মহাখালীর আইসিডিডিআরবি হাসপাতালে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি রোগী আসতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার চিকিৎসকেরা।
বিশিষ্ট শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মো: আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, শীত আসলেই যাদের কাশি অথবা হাঁপানি হয়ে থাকে তাদের একটু সাবধানে থাকতে হবে। ঠাণ্ডা কোনো খাবার খাওয়া যাবে না। সব সময় গরম পানি পান করলে সুস্থ থাকা যায় ঠাণ্ডাজনিত নানা রোগ থেকে। শিশুদের গোসল করাতে হবে গরম পানিতে। গোসলের পর পরই ভালো করে মাথা ও শরীর মুছিয়ে গরম কাপড়ে জড়িয়ে উষ্ণতা ফিরিয়ে আনতে হবে।
ডা. আতিয়ার রহমান বলেন, ঠাণ্ডার সমস্যা আছে এমন লোকদের উচিৎ গরম পানি দিয়ে গোসল করা। গলায় গরম লাগে এমন কাপড় অথবা মাফলার পেচিয়ে রাখা উচিৎ। এটা করা হলে ঠাণ্ডার প্রকোপ থেকে অনেকটা রেহাই পাওয়া যাবে। এছাড়া রোগের প্রকোপ বেশি হলে চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হতে হবে।
ঢাকার হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের প্রাইভেট চেম্বারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, শীত বাড়ার পর থেকেই চেম্বারে সর্দি-কাশি ও ডায়রিয়ার রোগী পাচ্ছেন। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের মধ্যে শীতজনিত কাশির মাত্রা বেড়েছে। সর্দি-কাশির মাত্রা বেড়ে গেলে নিজেরা ওষুধ না খেয়ে সরকারি হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।