পৃথিবীব্যাপী জনপ্রিয় মুসলিম আইডল। যারা ধর্মকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে হয়েছেন অনেক অনেক জনপ্রিয়। এমন ৫ জনের তালিকা করেছে জিনিউজের রিসার্চ টিম। আজকে আমরা জানবো তাদের সম্পর্কে।
জিনিউজের তালিকায় প্রথমেই রয়েছেন-
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেজেপ তাইয়িপ এরদোয়ান
২০১৪ সাল তুরস্কের ১২তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন এবং সেই থেকে সম্মানের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
তিনি বর্তমান পৃথিবীর সব থেকে জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট বলে ধারণা করা হয়। নেতৃত্বহীন মুসলিম বিশ্বকে এগিয়ে নিতে কাজ করছেন প্রতিনিয়ত।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে সবার আগে ও সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা নিয়ে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছেন এরদোগান। রোহিঙ্গাদের অবস্থা পরিদর্শনে মিসেস এরদোগান বাংলাদেশ সফর করেছেন।
জেরুসালেম ইস্যুতে ওআইসির চেয়ারম্যান এরদোগান জরুরি সম্মেলন ডেকে পূর্ব জেরুসালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী ঘোষণা করেছেন।
কাতার, সিরিয়া ও মিসর সঙ্কটে মুসলমানদের পাশে দাড়িয়েছেন। মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ করতে কাজ করছেন প্রতিনিয়ত।
তুরস্ক সফরকালে বারাক ওবামা বলেছিলেন, ‘একজন নেতা কিভাবে একই সাথে ইসলামিক, গণতান্ত্রিক ও সহিষ্ণু হতে পারে, তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ এরদোগান।
হাশিম আমলা
হাশিম মোহাম্মদ আমলা। দক্ষিণ আফ্রিকার একজন বিখ্যাত আন্তর্জাতিক ডানহাতি ব্যাটসম্যান এবং সাবেক ওপেনার। আইসিসি প্লেয়ার র্যাঙ্কিংয়ে টেস্ট ও একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট- উভয় বিভাগে বিশ্বের ১নং ব্যাটসম্যান হিসেবে স্বীকৃত এই ক্রিকেটার
মদের ব্র্যান্ড হওয়ায় অর্থনৈতিক ক্ষতি হওয়া সত্ত্বেও ক্যাসেলের লোগো কখনও বুকে ব্যবহার করেননি।
অনেকসময় বর্ণবাদের শিকার হলেও পিছু হটেননি তিনি। সবসময় নিজেকে একজন মুসলিম হিসেবেই বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরেছেন।
নিজেকে ধর্মপ্রাণ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করায়, বিশ্বজুড়ে মুসলিম যুবকদের আইডল হয়েছেন হাসিম আমলা। পেয়েছেন আকাশচুম্বি জনপ্রিয়তা।
নাদিয়া হুসেইন
বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক। একজন কলামিস্ট, লেখক, টেলিভিশন উপস্থাপিকা, শীর্ষ ব্রিটিশ বেকার ও শেফ হিসেবে বিশ্বব্যাপী পরিচিত তিনি। রান্না বিষয়ক ব্রিটেনের জনপ্রিয় টেলিভিশন অনুষ্ঠানের মধ্যে একটি ‘গ্রেট ব্রিটিশ বেক অফ’ প্রতিযোগিতা। যেখানে ২০১৫ সালে চূড়ান্ত পর্বে বিজয়ী হন নাদিয়া হুসেইন। পরের বছর রানি এলিজাবেথের ৯০তম জন্মবার্ষিকীর কেক তৈরি করে মিডিয়ার নজর কাড়েন নাদিয়া হুসেইন।
খ্যাতনামা একটি ব্রিটিশ পত্রিকা তাকে যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী ৫০০ ব্যক্তির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। একজন মুসলিম নারী হিসেবে তিনি তার চুল সবসময় ডেকে রাখেন। বর্ণবাদের স্বীকার হলেও সকল বাধা অতিক্রম করে নিজেকে একজন মুসলিম হিসেবেই বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরেছেন।
একজন মুসলিম নারী হিসেবে ইসলামকে মেনে বিশ্ব জয় করার জ্বলন্ত উদাহরণ তিনি।
মেসুত ওজিল
মেসুত ওজিল জার্মান ফুটবল দলের একজন নিয়মিত সদস্য ছিলেন।
তিনি ২০১৪ সালে ৪র্থ বারের মতো জার্মানিকে বিশ্বকাপ জিততে বড় ভূমিকা পালন করেন।
রমজান মাসে বিশ্বকাপ চলায় তাকে বলা হয় রোজা রাখলে ম্যাচ খেলা যাবে না।
তিনি বলেন, আমার কাছে খেলার চেয়ে রোজা বড়, রোজা রাখায় খেলতে না দিলে খেলব না। পরে রোজা রেখেই ম্যাচ খেলেছেন
দারুণ পারফর্মেন্সের পাশাপাশি তার আচরণে মুগ্ধ করে প্রশংসিত হয়েছেন বিশ্বব্যাপী।
একবার একটি খেলার সময় একজন দর্শক মাঠে রুটি ছুড়ে মারেন। ওজিল খেলার মধ্যেই মুসলিম হিসেবে এভাবে খাবারকে সম্মান জানান।
খেলোয়ার ছাড়াও তিনি একজন মুসলিম হিসেবে পৃথিবীব্যাপী সম্মান ও জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন।
সনি বিল উইলিয়ামস
সনি বিল উইলিয়ামস হলেন- নিউজিল্যান্ডের প্রখ্যাত রাগবি খেলোয়াড় ও পেশাদার হেভিওয়েট মুষ্টিযোদ্ধা।
তিনি দুইবার নিউজিল্যান্ডকে রাগবি বিশ্বকাপও জেতান।
তিনি কয়েক বছর আগে খ্রিস্টান থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
তার প্রচেষ্টায় উইলিয়ামসের মা ‘লি উইলিয়ামস’ ও তার বন্ধু ইসলাম গ্রহণ করেছেন।
ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার পর তিনি বিপদগ্রস্ত মুসলমানদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
সেখান থেকেই তিনি আলোচনায় আসেন, মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন এ মুসলিম তারকা।
এমন অনেক মুসলিম রয়েছেন যারা পেশার পাশাপাশি ইসলামকে ভালোবেসে হয়েছেন পৃথিবীব্যাপী জনপ্রিয়। তাদের সম্পর্কে জানতে চাইলে অবশ্যই কমেন্টে লিখে জানান। আর ভিডিওটি সম্পর্কেও মতামত জানাতে ভুলবেন না।
ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। ভিডিওটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। আল্লাহ হাফিজ।