গত ১ মে থেকে আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্র সেনা প্রত্যাহার শুরুর পর দেশটিতে সহিংসতা বেড়েছে। দেশের ৩৪টি প্রদেশের ২৬টিতে এখন লড়াই চলছে। বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের মধ্যেই আফগানিস্তানে তালেবান গোষ্ঠীর আক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বাগলান প্রদেশের কয়েকটি জেলায় তালেবান ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে তুমুল লড়াই হয়েছে। তালেবানরা পশ্চিম ঘোড় প্রদেশের শাহরাক জেলা দখল করে এবং প্রচণ্ড সংঘর্ষের পরে আফগান সেনাদের আশেপাশের গ্রামে ফিরে যেতে বাধ্য করে।
তালেবানকে ক্ষমতাচ্যুত করার ২০ বছর পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার সেনা প্রত্যাহার শুরু করায় আফগান সরকার ও তালেবানদের মধ্যে রাজনৈতিক আলোচনা অনেকাংশেই থমকে গেছে। উভয় পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে বেসামরিক নাগরিকদের উপরে আক্রমণ চালানো এবং সহিংসতা থামাতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ তুলেছে।
তালেবান শব্দের অর্থ ছাত্র। তালেবান সক্রিয় ১৯৯৪-এর সেপ্টেম্বর থেকে। দলটির আদর্শ- দেওবন্দী এবং পশতুন জাতীয়তাবাদ। আফগানিস্তানে সোভিয়েত যুদ্ধের সময় এই মুজাহিদীন গোষ্ঠীর উৎপত্তি হয়। তাদের কার্যক্রমের অঞ্চল আফগানিস্তান এবং পাকিস্তান।
১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত কান্দাহারে সদর দফতর ছিল। প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ ওমর ১৯৯৪ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত নেতৃত্ব দিয়েছেন। সহ-প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন আব্দুল গণি, আখতার মনসুর, হাইবাতুল্লাহ আখুনজাদা ও মোহাম্মদ রসূল।
তালেবান সুন্নি ইসলামী এবং পশতুন জাতীয়তাবাদী আন্দোলন। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে আফগানিস্তানে এই আন্দোলনের নেতারা কাবুলে ক্ষমতাসীন ছিলেন। মাত্র তিনটি দেশ তাদেরকে স্বীকৃত দিয়েছিল: পাকিস্তান, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত। মানবাধিকার লংঘনের জন্য আফগানিস্তান জাতিসংঘের স্বীকৃতি হারিয়েছিল। ইরান, ভারত, তুরস্ক, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্য এশিয়ার অধিকাংশ দেশ তালেবান শাসনের বিরোধিতা করেছিল এবং তালেবান বিরোধী আফগান নর্দার্ন অ্যালায়েন্সকে সাহায্য করেছিল।
২০০১ সালে নর্দার্ন অ্যালায়েন্স এবং ন্যাটো দেশগুলো কর্তৃক পরিচালিত এক যৌথ অভিযানের মাধ্যমে সেদেশে তালেবান শাসনের অবসান ঘটানো হয়, তালেবান নেতারা অনেকেই বন্দী হন, বাকিরা পালিয়ে যান। দৃঢ় চেতনার অধিকারী তালেবান সমর্থকেরা পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তের উপজাতীয় অঞ্চলে রয়েছে।
তালেবান আন্দোলনের প্রধান ছিলেন মোল্লা মুহাম্মাদ ওমর। ওমরের পরেই ছিল সামরিক কমান্ডার ও মাদ্রাসা শিক্ষকদের একটি মিশ্র ইউনিটের অবস্থান। এর পরে স্থান ছিল পদমর্যাদা অনুযায়ী পাকিস্তানের বিভিন্ন ধর্মীয় বিদ্যালয়ে পাঠ গ্রহণকারী ব্যক্তিদের।
দক্ষিণ আফগানিস্তানের পশতুন অঞ্চল ও পশ্চিম পাকিস্তানের কিছু অঞ্চলে তালেবান আন্দোলন সবচেয়ে ব্যাপক রূপ ধারণ করেছিল। এছাড়াও ইউরোপ ও চীন থেকে কিছু স্বেচ্ছাসেবক এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন। তালেবানরা বিভিন্ন উৎস থেকে ভারী অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ সহযোগিতা লাভ করেছিল। আফগান শরণার্থীদের জন্য নির্মিত মাদ্রাসাগুলো থেকে অনেকেই সশস্ত্র আন্দোলনে যোগ দিয়েছিল।
ক্ষমতায় থাকার সময় তালেবানরা শরিয়াহ্ভিত্তিক ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিল। যা মুসলিম বিশ্বের অনেকের কাছে নন্দিত হয়েছিল। নারীদের বোরকা পরে চলাফেরা করতে হতো। পুরুষ ডাক্তাররা নারীদেরকে চিকিৎসা করতে পারতো না। একান্তই করাতে হলে, সাথে করে কোন পুরুষ আত্মীয় বা স্বামী নিয়ে আসতে হতো। তবে কঠোর বিধি-নিষেধ বিশ্বব্যাপী বিশেষ করে পশ্চিমা বিশ্বে সমালোচিত হয়।
পুরুষ-নারী সবাইকেই ইসলামী আইন ভঙ্গ করার জন্য কঠোর শাস্তির সম্মুখীন হতে হতো। ১৯৯৬ সালে তারা ক্ষমতায় আসার পর আফগানিস্তানে ইসলামি আমিরাত প্রতিষ্ঠা করে।
বর্তমানে তালেবানরা শক্তিশালী অবস্থানে আছে। যুদ্ধে তালেবানরা জয়ী হয়েছে—বলে ঘোষণা দিয়েছেন তালেবান নেতা হাজী হেকমত।
আফগান গৃহযুদ্ধের সময় তালেবানরা শুধুমাত্র সাদা পতাকা ব্যবহার করতো। ১৯৯৬ সালে কাবুলের ওপর নিয়ন্ত্রণভার গ্রহণ করে ও আফগানিস্তানকে ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করে। সাদা পতাকাকে জাতীয় পতাকা হিসেবে চিত্রিত করে। ‘তাদের বিশ্বাসবোধ এবং সরকারের বিশুদ্ধতার প্রতীক’রূপে তুলে ধরা হয়। ১৯৯৭ সালের পর ওই পতাকায় শাহাদাহ চিহ্ন যুক্ত করা হয়।
তালেবান কী চায়?
তালেবানরা চায় দীর্ঘস্থায়ী শান্তির দিকে এগিয়ে যেতে। একটি নতুন আফগানিস্তানের ভিত গড়তে। প্রত্যেকেরই সম্মানে, শান্তিতে থাকার অধিকার নিশ্চিত করতে। ইসলামী নীতিমালার সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোনো সিদ্ধান্তই তারা মানবে না। বর্তমানে তালেবান সব দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার গুরুত্ব স্বীকার করে এবং তাদের উদ্বেগকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে।
তাদের চিন্তা অনুযায়ী- আফগানিস্তান বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে টিকে থাকতে পারবে না এবং নতুন আফগানিস্তান হবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের একটি দায়িত্বশীল সদস্য। তালেবান চায় নতুন আফগানিস্তান হবে স্থিতিশীলতার দুর্গ এবং তাদের মাটিতে কেউ হুমকি বোধ করবে না এমন পরিবেশ নিশ্চিত করতে সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করতে।
দীর্ঘমেয়াদী শান্তি-স্থাপন ও পুনর্গঠনে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে কাজ করতে তারা প্রস্তুত। কঠোর পরিশ্রমী বিভিন্ন আফগান গোষ্ঠীর সামনে একটি সাধারণ ভবিষ্যত নিরূপণ করতে চায় তালেবান। তারা আন্তঃআফগান মতবিরোধগুলিও আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে রাজি। তারা অন্যান্য দলের সঙ্গে মিলে একটি পরামর্শমূলক পদ্ধতিতে সত্যিকারের শ্রদ্ধার সঙ্গে একমত হয়ে দেশ গড়ার কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তারা চায়- নতুন অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক ব্যবস্থায় প্রতিটি আফগানের কণ্ঠস্বর ধ্বনিত হবে এবং যেখানে কোনো আফগান নিজেকে বঞ্চিত বোধ করবে না।
তালেবান এমন একটি ইসলামি ব্যবস্থা গড়ে তোলার উপায় খুঁজে নিতে চায়, যেখানে সমস্ত আফগানের থাকবে সমঅধিকার। যেখানে ইসলামের দেয়া নারীদের অধিকার, শিক্ষার অধিকার থেকে কর্মের অধিকার- থাকবে সুরক্ষিত। যেখানে যোগ্যতার বিচার হবে সমান সুযোগের ভিত্তিতে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তালেবানের অভিযোগ
যুক্তরাষ্ট্র তাদের নিয়ন্ত্রাণাধীন গ্রামগুলোর ওপর তীব্র বোমা হামলা চালিয়েছে এবং আমেরিকানদের দিক থেকে চিরাচরিত বিভিন্ন অযথা ও অসংযত কর্মকাণ্ড চলমান ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বিদেশি জোটের সঙ্গে যে যুদ্ধ- এই যুদ্ধকে তো তারা বেছে নেননি।
নিজেদের রক্ষা করতে গিয়ে বাধ্য হয়ে জড়িয়েছেন। চার দশকেরও বেশি সময় ধরে প্রতিদিন আফগানদের মূল্যবান প্রাণ ক্ষয় হয়েছে। প্রতিটি আফগান তাদের কোনো না কোনো প্রিয়জনকে হারিয়েছে। দীর্ঘ যুদ্ধ সবার থেকেই ভয়াবহ মূল্য শুষে নিয়েছে।
তালেবানের ব্যাপারে কী ভাবছে মার্কিনিরা?
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার এক প্রতিবেদন বলছে, আফগান সরকার ‘আত্মবিশ্বাসী’ তালেবানের বিরুদ্ধে ‘সমস্যায়’ পড়বে৷ তালেবান ‘সামরিক বিজয় অর্জনের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী’৷
তালেবানের ব্যাপারে কী ভাবছে সরকার?
সংসদ সদস্য রায়হানা আজাদ বলেন, ‘আগের চেয়ে তালেবানের শক্তি বেড়েছে৷ আইএস ও অন্যান্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর শক্তিও বেড়েছে৷ ফলে আফগানিস্তান থেকে তড়িঘড়ি ও দায়িত্বহীনভাবে সেনা প্রত্যাহার শুধু আফগানিস্তান নয়, এই অঞ্চল তথা বিশ্বের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে৷ যুক্তরাষ্ট্র তালেবানকে অনেক বেশি ছাড় দিয়েছে৷ আফগান জনগণকে এর মূল্য দিতে হবে৷ তারা অনুভব করছে যে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তাদের পরিত্যাগ করেছে৷’
আফগানিস্তানে তালেবান পাকিস্তানের হয়ে অঘোষিত যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আফগানিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হামদুল্লাহ মুহিব। মুহিব পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযোগ তুলে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, পাকিস্তানের গোয়েন্দারা আফগানিস্তানে তালেবানকে সমর্থন ও পরিচালনা করছে।
আফগানিস্তানের ভবিষ্যত নিয়ে কী ভাবছে বিশেষজ্ঞরা?
কাবুলের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ শফিক হামদাম বলেন, আফগান নিরাপত্তা বাহিনী ‘যুক্তরাষ্ট্রের ওপর আর্থিক ও সামরিক বিষয়ে নির্ভরশীল, এবং তাদের সহায়তা ছাড়া তারা কঠিন পরিস্থিতিতে পড়বে৷’
কাবুলের সামরিক বিশেষজ্ঞ আসাদুল্লাহ নাদিম বলেন, ‘শর্তহীনভাবে সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র তালেবানের মূল দাবি মেনে নিয়েছে৷ এখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আশা করবে, তালেবান রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় যোগ দেবে৷ যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার আর কোনো কারণ নেই।’
গেটওয়ে হাউসের আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিষয়ক ফেলো সমীর পাটিলের মতে, মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর আফগানিস্তানের পরিস্থিতি কেমন হবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে। রাজনৈতিক নিষ্পত্তি ছাড়া কয়েক মাস বা কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আফগানিস্তানে যুদ্ধ নিশ্চিত। সেই সঙ্গে নিশ্চিত যে কাবুল দখল করবে তালেবান।
তাই নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করতেই তালেবানের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে ভারত। তালেবানদের সঙ্গে আলোচনার ক্ষেত্রে ঐতিহাসিকভাবে যেভাবে অনিচ্ছা দেখিয়ে এসেছে ভারত, তা থেকে সরে এসে আফগান শান্তি প্রক্রিয়ায় নিজেদের প্রাসঙ্গিক করে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। একমাত্র এভাবেই দেশটির নিরাপত্তা পরিস্থিতির ওপর যে বিরূপ প্রভাব পড়বে, তা কমিয়ে আনা সম্ভব।’
আশা-আশঙ্কার দোলাচাল
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা সরিয়ে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন৷ এরপর ন্যাটোও তাদের সৈন্য সরিয়ে নেবে বলে জানিয়েছে৷ বাইডেনের এই সিদ্ধান্তের কারণে আফগানিস্তানে আরও বড় ভূমিকা রাখতে চাওয়া আঞ্চলিক শক্তিগুলোর জন্য ভালো হবে৷ পাকিস্তান, ভারত, চীন ও রাশিয়ার আফগানিস্তান নিয়ে নিজস্ব কৌশলগত আগ্রহ আছে, যেটা মার্কিন উপস্থিতি না থাকলে পূরণ করতে সুবিধা হবে৷
কাবুল বিমানবন্দরের দায়িত্ব নিতে চায় তুরস্ক
আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো বাহিনী চলে যাওয়ার পর কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ও পরিচালনায় দায়িত্ব নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে তুরস্ক। কাবুল বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব নেয়ার প্রস্তাবের ব্যাপারে তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকার জানিয়েছেন, আঙ্কারার প্রস্তাবে মিত্রদের কাছ থেকে সহযোগিতা নেওয়ার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত আছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা জানান, তারা তুরস্কের প্রস্তাবকে স্বাগত জানাচ্ছেন। কিন্তু এই কাজের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে অনেক কিছু চাইছে আঙ্কারা।
তালেবানের সঙ্গে আলোচনা শুরু ভারতের
নিজেদের দীর্ঘদিনের অবস্থান থেকে সরে এলো ভারত। প্রথমবারের মতো আফগান তালিবানের কোনও গোষ্ঠী এবং নেতাদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে দিল্লি। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও-র উপস্থিতিতে চুক্তি স্বাক্ষর করা তালিবান নেতা মোল্লা বরাদরের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে দিল্লি।
ভারতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তারাই আলোচনা চালাচ্ছেন। তবে পাকিস্তান ও ইরানের মদদ পাওয়া তালিবান নেতাদের সঙ্গে কথা হচ্ছে না। তালিবানের যে গোষ্ঠীগুলি ‘জাতীয়তাবাদী’ হিসেবে পরিচিত, তাদের জন্যই আলোচনার দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে। যা গত কয়েক মাস ধরেই চলছে। তাতে বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হচ্ছে।
এলাকা ছেড়ে যাচ্ছে আফগান কিশোরীরা
তালেবান শাসনের সেই যুগ যেন আবার ফিরে আসারই আলামত দেখা যাচ্ছে। হামলা-সহিংসতা বেড়েছে। উপরন্তু নতুন করে তালেবানের কোপে পড়ছে নারী শিক্ষা। বাধ্য হয়ে শিক্ষার জন্য এলাকা ছেড়ে যাচ্ছে মেয়েরা। আফগানিস্তানের তালেবান নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে গ্রামের মুরব্বিদের সঙ্গে বৈঠকের পর মসজিদে ঘোষণা দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে মেয়েদের স্কুল। দুই একটি জায়গা ছাড়া ওইসব এলাকায় ১২ বছরের বেশি বয়সের মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার আর সুযোগ নেই। কিশোরীদের জন্য তালেবানের বার্তা হচ্ছে: কিশোরীদের উচিত বাড়িতে তাদের মায়েদের ঘরের কাজে সাহায্য করা।