আগের চার ম্যাচে ব্যাট হাতে সফলই বলা চলে সাকিব আল হাসানকে। কিন্তু বল হাতে উইকেটের দেখা পাচ্ছিলেন না এ বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। আসরে চার ম্যাচে সাকিবের ঝুলিতে ছিল মাত্র তিন উইকেট। দক্ষিণ আফ্রিকার ইমরান তাহির, নিউ জিল্যান্ডের ড্যানিয়েল ভেট্টোরি, ভারতের রবিচন্দ্রন অশ্বিনরা যখন স্পিন জাদুতে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের ঘায়েল করছিলেন, তখন কেন জানি পারছিলেন সাকিব। বল হাতে ক্যারিশমা দেখাতে স্বাগতিক নিউ জিল্যান্ডকেই বেছে নিলেন সাকিব। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে দল হারলেও সাকিবের নাম উঠে পড়েছে ব্যক্তিগত গৌরবের এক রেকর্ডে। বল হাতে নিয়েছেন চার উইকেট। আর ব্যাট থেকে এসেছে ২৩ রান। এরই মধ্যে দিয়ে তার নাম লেখা হয়েছে ইতিহাসের পাতায়। এ ম্যাচের মধ্যে দিয়ে সাকিব বিশ্বকাপ ইতিহাসের সপ্তম ক্রিকেটার হিসেবে বিশ্বকাপে ৫০০+ রানের পাশাপাশি ২০ উইকেট। উঠে পড়লেন গ্রেটদের কাতারে। শুধু তাই নয়, কিউইদের বিপক্ষেও তিনি বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে বেশি উইকেট পাওয়ার সম্মান ধরে রেখেছেন (২৮টি উইকেট ওয়ানডেতে)। সাকিবের আগে দক্ষিণ আফ্রিকার জ্যাক ক্যালিস, শ্রীলঙ্কার সনথ জয়সুরিয়া, অস্ট্রেলিয়ার স্টিভওয়াহ, ভারতের যুবরাজ সিং, কপিল দেব ও পাকিস্তানের ইমরান খান এই কীর্তি গড়েন বিশ্বকাপে।
বিশ্বকাপে ৫০০ রান ও ২০ উইকেট
খেলোয়াড় দেশ ম্যাচ ইনিংস রান ওভার উইকেট
জয়সুরিয়া শ্রীলঙ্কা ৩৮ ৩৭ ১১৬৫ ২১৯.১ ২৭
ক্যালিস দ.আফ্রিকা ৩৬ ৩২ ১১৪৮ ২১১ ২১
স্টিভওয়া অস্ট্রেলিয়া ৩৩ ৩০ ৯৭৮ ১৭৩.১ ২৭
যুবরাজ ভারত ২৩ ২১ ৭৩৮ ৯২.৩ ২০
কপিল দেব ভারত ২৬ ২৪ ৬৬৯ ২৩৭ ২৮
ইমরান খান পাকিস্তান ২৮ ২৪ ৬৬৬ ১৬৯.৩ ৩৪
সাকিব বাংলাদেশ ২০ ২০ ৫৩০ ১৫৪.৫ ২২