জাতিসংঘের নিয়মিত সংবাদ-সম্মেলনে বাংলাদেশের আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
সংস্থাটির মহাসচিব বান কি মুনের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজাররিকের কাছে গতকাল বাংলাদেশের আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জাতিসংঘের অংশগ্রহণের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়।
প্রযুক্তিগত বা অন্য ধরনের সহায়তার মাধ্যমে নির্বাচনে জাতিসংঘের অংশগ্রহণের বিষয়টি সরকারের অনুরোধের ওপর নির্ভর করে বলে জানান মুখপাত্র।
বাংলাদেশে চলমান সহিংসতা প্রশমনে সমাধান বের করার লক্ষ্যে সম্প্রতি সব রাজনৈতিক দলকে একসঙ্গে কাজ করার যে আহ্বান জানিয়েছেন বান কি মুন, তা পুনর্ব্যক্ত করেন ডুজাররিক।
নিচে জাতিসংঘের প্রেস-ব্রিফিংয়ে প্রশ্নোত্তর পর্বে বাংলাদেশ অংশটুকু তুলে ধরা হলো:
প্রশ্ন: বাংলাদেশ প্রসঙ্গে আমি গত ৩ এপ্রিল কয়েকটি প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিব বা আপনার বিবৃতিটি দেখেছি, যেখানে মূলত বলা হয়েছে, এ নির্বাচনগুলো অনুষ্ঠিত হওয়ার বিষয়টি চমৎকার এবং সেটা সম্ভবত ভালো। কিন্তু, দেশটিতে (বাংলাদেশে) বেশ কিছু অভিযোগ পরিলক্ষিত হচ্ছে, যেমন- বিরোধী দলের কয়েকজন প্রার্থী এখনও জেলে রয়েছেন এবং মানুষকে নিবন্ধন করতে বাধা দেয়া হচ্ছে।
আমি জানতে চাই, এ বিষয়ে প্রশংসা ছাড়া আরও কিছু কি বলার আছে? এবং বিশেষ করে এ নির্বাচনগুলোতে জাতিসংঘের কি কোন ভূমিকা রয়েছে বা জাতিসংঘ কি কোন ভূমিকা রাখতে আগ্রহী?
মুখপাত্র: না, আমার আর কিছু বলার নেই। অবশ্যই, সরকারের অনুরোধের ভিত্তিতেই যে কোন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে থাকে জাতিসংঘ। সেটা প্রযুক্তিগত সহায়তা বা অন্য যে কোন ধরনের সহায়তা প্রদানের মাধ্যমেই ঘটুক না কেন। গত সপ্তাহে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন সব রাজনৈতিক দলকে (সহিংসতা) প্রশমনের লক্ষ্যে সমাধানের উপায় খুঁজে বের করার জন্য যে উৎসাহ দিয়েছেন, তার বাইরে আমার কাছে নতুন করে যোগ করার মতো কিছু নেই।