জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘সেদিন আর বেশি দূরে নয়, বাংলার জনগণ আপনাকে বিদায় করবে।’
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘সিদ্ধান্ত নিন- ভদ্রভাবে যাবেন, নাকি চিরদিনের জন্য চলে যাবেন? হিটলার-মুসোলিনী হবেন না, গণতান্ত্রিক নেত্রী হয়ে বিদায় নিন।’
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলেক্ষ নাগরিক ঐক্য আয়োজিত ‘স্বাধীনতা চেতনা ও মানবাধিকার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় আ স ম রব এ কথা বলেন।
সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘অবিলম্বে মাহমুদুর রহমান মান্নাকে মুক্তি দিন। রাজনৈতিক ব্যক্তির সঙ্গে রাজনৈতিক আচরণ করুন, রাজনীতির আড়ালে সন্ত্রাসী কার্মকাণ্ড পরিচালনা করবেন না। এভাবে বেশি দিন টিকতে পারবেন না।
’
জেএসডি সভাপতি বলেন, ‘রাজাকার যেমন কোনদিন মুক্তিযোদ্ধা হতে পারে না, তেমনি আওয়ামী লীগ কখনো গণতান্ত্রিক দল হতে পারে না। তাই দেশের গণতন্ত্র রক্ষা করতে হলে আওয়ামী লীগকে বিদায় করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘যারা পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করছে তাদের ধরার দায়িত্ব সরকারের। কেন সরকার তাদের ধরতে পারছে না। কারণ, বিরোধী দলের আন্দোলন দমনের জন্য সরকার এইসব কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে।’
আ স ম রব বলেন, ‘পেট্রোল বোমাকে আমারা ঘৃণা করি। কিন্তু তার চেয়ে ভয়ঙ্করভাবে ঘৃণা করি ক্রসফায়ারের নামে বিনাবিচারে মানুষ হত্যা।’
তিনি বলেন, ‘সংলাপ করতে চায় না সরকার। কারণ যদি সংলাপ বা আলোচনার মাধ্যেমে নির্বাচন হয়, তাহলে তারা পরাজিত হবেন। ক্ষমতায় থাকার জন্য তারা সংলাপ করতে চাচ্ছে না।’
জেএসডি সভাপতি বলেন, ‘মান্নাকে গ্রেপ্তার করার মূল কারণ হলো তিনি জাতির গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করেন। তিনি তো চোর বা ডাকাত নন। তিনি যা করেছেন তার প্রমাণ তো আপনাদের কাছে আছে, কিন্তু কেন তার বিরুদ্ধে এতো মিথ্যাচার।’
আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- গণস্বাস্থা কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, নাগরিক ঐক্যের সদস্য কাজী ইসলাম উদ্দীন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সুকোমল বড়ূয়া প্রমুখ।
মেহেদী হাসান