খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, আপনি আপনার পতনধ্বনি শুনতে পাচ্ছেন কিনা জানি না। আপনার দলের ভাঙন অতি শিগগিরই হবে। সেটা শোনার জন্য কান পেতে থাকুন।
রাজধানীর লালবাগে থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনাসভায় মঙ্গলবার দুপুরে তিনি এ মন্তব্য করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
হানিফ বলেন, বেগম খালেদা জিয়া আপনি যদি এইভাবে চলেন, তাহলে আপনি আপনার দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবেন। আপনার নেতাকর্মীরা আর বিএনপিতে থাকবে না। তারা বিকল্প রাস্তা খুঁজবে। খুঁজতে শুরু করেছে। আপনি আপনার পতনধ্বনি শুনতে পাচ্ছেন কিনা জানি না। আপনার দলের ভাঙন অতি শিগগিরই হবে। সেটা শোনার জন্য কান পেতে থাকুন।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, খালেদা জিয়ার সংবাদ সম্মেলনে সিনিয়র কোনো নেতা ছিল না। কারণ যারা বিবেকবান, যাদের দেশের মানুষের প্রতি ন্যূনতম দায়িত্ববোধ আছে, তারা বেগম খালেদা জিয়ার এইভাবে পেট্রল দিয়ে মানুষ হত্যা পছন্দ করে না। এই কারণে তারা আজকে বিএনপি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া রাজনীতি থেকে অনেক দূরে সরে গেছেন। দেশের মানুষের প্রতি তার আস্থা নেই। তাই তিনি মানুষ হত্যা করছেন। গত আড়াই মাসে মানুষ হত্যা, গাড়ি ভাঙচুরসহ সম্পদ ধ্বংসের দায় থেকে মুক্তি পাওয়ার, বাঁচার সুযোগ নেই। আপনি যতই আন্দোলনের হুমকি দেন, যতই বিদেশী প্রভুদের কাছে ধরনা দেন, মানুষ হত্যার দায়ে আপনাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। জনগণ না চাইলে কোনো বিদেশী প্রভু আপনাকে ক্ষমতায় বসাতে পারবে না।
হানিফ বিএনপি চেয়ারপারসনের সংবাদ সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্য নির্লজ্জ মিথ্যাচারে ভরা। যার কারণে তিনি সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি। তিনি জানেন, যা বলেছেন সব মিথ্যা। তাই প্রশ্নের উত্তর দিলে ধরা খাবেন।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে মুক্তিযুদ্ধের ‘খলনায়ক’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, তিনি যে স্বাধীনতার পক্ষে ছিলেন সেটা আজও প্রমাণিত নয়। ৭৫-এর পর ক্ষমতা দখল করে ১১ হাজার রাজাকারকে মুক্ত করে দিয়েছিলেন। শাহ আজিজুর রহমানের মতো রাজাকারকে প্রধানমন্ত্রী, আব্দুল আলীমের মতো রাজাকারকে রেলমন্ত্রী বানিয়েছিলেন। গোলাম আযমকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। খুনি জিয়া মুক্তিযুদ্ধের নায়ক নয়, খলনায়ক ছিলেন।
লালবাগ থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজ, সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ খোকন, সাবেক সংসদ সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন প্রমুখ।