অপহরণকারীদের থেকে অপহরণ করে স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ

download (2)অটোরিকশাযোগে নানাবাড়ি থেকে ফেরার পথে চালক ও তার দুই সহযোগী এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর শালবনের ভেতর গণধর্ষণের চেষ্টা করছিল। ধস্তাধস্তিকালে মেয়েটির চিৎকারে মোটরসাইকেল আরোহী দুই তরুণ টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে। পরে মেয়েটিকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে ফের তুলে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে ওই দুজন। গতকাল শুক্রবার গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তালতলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। ধর্ষক দুই তরুণ হলো ওই এলাকার আবদুল জব্বারের ছেলে রাজিব (২৪) ও আবদুল বাতেন মিয়ার ছেলে রুবেল (২৬)। ধর্ষিতা স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী।

ধর্ষিতার স্বজনরা জানায়, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে মেয়েটি তার মায়ের সঙ্গে পাশের কাওরাইদে নানাবাড়ি যায়। গতকাল বাড়ি ফেরার জন্য তার মা তাকে কাওরাইদ রেলওয়ে স্টেশন এলাকা থেকে খালি একটি অটোরিকশায় তুলে দেন। ধর্ষিতা জানায়, পথে বালিয়াপাড়া এলাকায় চালক অটোরিকশা থামিয়ে কয়েক মিনিট মোবাইলে কথা বলে। পরে কম সময়ে তাকে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে চালক বরমী-নয়নপুর সড়কে দোখালা এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে অপেক্ষমাণ দুজনকে চালক অটোরিকশায় তোলে। তারা অটোরিকশায় উঠেই মেয়েটির গলায় ধারালো অস্ত্র ধরে তাকে জিম্মি করে ফেলে। পরে সিসিডিবি সড়কে উত্তর পেলাইদ শালবনের ভেতর অটোরিকশা থামিয়ে চালকসহ ওই দুই যাত্রী তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। তার চিৎকারে মোটরসাইকেল আরোহী দুই তরুণ রাজিব ও রুবেল তাকে উদ্ধার করে। পরে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে তারা তাকে তালতলী এলাকায় একটি ঘরে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে।

স্থানীয় ব্যবসায়ী জামান মিয়া জানান, ধর্ষকরা পরস্পর প্রতিবেশী ও বন্ধু। তারা গ্রামে বখাটে মাদকসেবী হিসেবে পরিচিত। এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা শ্রীপুর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

থানার পরিদর্শক (ওসি) মহসিন-উল কাদির জানান, ধর্ষণ চেষ্টাকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Exit mobile version