উকিল নোটিশ প্রত্যাহার না করলে আইনি ব্যবস্থা : আ’লীগ

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পাঠানো উকিল নোটিশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। একই সাথে অবিলম্বে উকিল নোটিশ প্রত্যাহার না করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছে দলটি।

আজ বুধবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির অন্যতম মুখপাত্র ড. হাছান মাহমুদ এমপি এ কথা জানান।

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে পাঠানো এক উকিল নোটিশের জবাব দিতে দলটির পক্ষ থেকে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ প্রমুখ।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, আইনি নোটিশ এখনও আমাদের কাছে আসেনি। গণমাধ্যম থেকে নোটিশের বিষয়টি জেনেছি। নোটিশ পেলে এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি বলেন, বিএনপি নেত্রী এবং তার দুই পুত্রের দুর্নীতির খবর এখন বিশ্ব স্বীকৃত। বিদেশের আদালতও খালেদা জিয়ার দুই পুত্রের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে সাজা দিয়েছে। তারেক রহমানের হাওয়া ভবন ছিল বিএনপি সরকারের মধ্যকার আরেক সরকার। দেশি-বিদেশি কোম্পানিকে বিভিন্ন ঠিকাদারি কাজ পাইয়ে দিতে হাওয়া ভবন থেকেই হাজার হাজার কোটি টাকা কমিশন আদায় করা হতো।

খালেদা জিয়ার দুর্নীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সৌদি আরবে খালেদা জিয়ার অর্থ পাচারের খবর বিশ্ব মিডিয়ায় প্রকাশ পেয়েছে। মিডিয়ার উদ্ধৃতি দিয়েই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খালেদা জিয়ার দুর্নীতি সম্পর্কে মন্তব্য করেন। প্রচারিত একটি বিষয়ে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী জনগণকে অবহিত করেছেন মাত্র।

এসময় তিনি ২০০১ সাল পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে খালেদা জিয়া ও তার পরিবারের ‘দুর্নীতি ও অর্থ পাচারে’র বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরে তিনি আরো বলেন, ১২টি দেশে খালেদা জিয়া ও তার পরিবারের এক হাজার দুইশ’ কোটি মার্কিন ডলার পাচারের অভিযোগ এসেছে। খালেদা জিয়া জরিমানা দিয়ে কালো টাকা সাদা করেছেন। দুর্নীতি ও অর্থপাচারের জন্য খালেদা জিয়াকে জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।

হাছান মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা যখন সর্বোচ্চ সাজা দাবি করেছেন, ঠিক তখনই ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রীকে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন। মিডিয়াকে প্রভাবিত করতেই খালেদা জিয়ার এ কৌশল বলে আমরা মনে করি। এতে খালেদা জিয়ার শেষ রক্ষা হবে না।

শাক দিয়ে মাছ ঢাকা যায় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া যে মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়েছে, তাতে জনগণের দৃষ্টিকে সরানো যাবে না। অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো উকিল নোটিশ প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

দেশে খালেদা জিয়া ও তার পরিবারের সদস্যদের অর্থ বিনিয়োগের যে অভিযোগ উঠেছে, এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের কাছে কোনো তথ্য-প্রমাণ আছে কি-না- সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের কাছে অবশ্যই তথ্য প্রমাণ আছে। বিভিন্ন অনলাইনেও বিষয়টি প্রকাশিত হয়েছে।

Scroll to Top