রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই আজ বুধবার সকাল ১০টা থেকে সারা দেশে শুরু হচ্ছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এ পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতিও সম্পন্ন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ১০ লাখ ৭৩ হাজার ৮৮৪ জন শিক্ষার্থী। এ সংখ্যা গত (২০১৪ সাল) শিক্ষাবর্ষের চেয়ে ৬৭ হাজার ৪৯০ কম। গত শিক্ষাবর্ষে অংশ নিয়েছিল ১১ লাখ ৪১ হাজার ৩৭৪ শিক্ষার্থী। মোট অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীর মধ্যে আবার দুই লাখ তিন হাজার ৭৪৬ জন অনিয়মিত ও বিগত শিক্ষাবর্ষে এক বা দুই বিষয়ে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীও রয়েছে।
মোট দুই হাজার ৪১৯টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। দেশের বাইরে নতুন দুটিসহ মোট সাতটি কেন্দ্রে ২৪১ পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। সময়সূচি অনুযায়ী, তত্ত্বীয় (লিখিত) পরীক্ষা শেষ হবে ১১ জুন। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৩ জুন শুরু হয়ে শেষ হবে ২২ জুন।
গত বছরের তুলনায় এবারের পরীক্ষায় সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলোর মধ্যে ঢাকায় ২৩ হাজার ৪১১ জন, রাজশাহীতে ছয় হাজার ২৪৮ জন, কুমিল্লায় তিন হাজার ৪৪৪ জন, দিনাজপুরে সাত হাজার ৯০৬ জন পরীক্ষার্থী কমেছে।
এ ছাড়া মাদ্রাসা বোর্ডে ২৩ হাজার ১৯৭ জন এবং কারিগরি বোর্ডে ছয় হাজার ৪২২ জন পরীক্ষার্থী কমেছে। অথচ কারিগরি শিক্ষার ব্যাপারে বর্তমান সরকারের উদ্যোগ বেশি। তবে অপর চারটি শিক্ষা বোর্ডে গত বছরের চেয়ে পরীক্ষার্থী কিছুটা বেড়েছে। এর মধ্যে যশোর বোর্ডে ১৫৩ জন, চট্টগ্রাম বোর্ডে দুই হাজার ৯৮৪ জন, সিলেট বোর্ডে ১৭৫ জন এবং বরিশাল বোর্ডে ৮৫৯ জন পরীক্ষার্থী বেড়েছে।
এদিকে প্রাথমিক, জেএসসি ও মাধ্যমিকের পর উচ্চমাধ্যমিকেও ছাত্রের চেয়ে ছাত্রীসংখ্যা বেড়েছে তিনটি শিক্ষা বোর্ডে। এ বোর্ডগুলো হচ্ছে কুমিল্লা (দুই হাজার ৯৬৪ জন), চট্টগ্রাম (এক হাজার ৬৭৭ জন) ও সিলেট (দুই হাজার ৪০১ জন)। বিদেশের সাত কেন্দ্রেও ছাত্রের চেয়ে ছাত্রীসংখ্যা বেশি।
এ ছাড়া নিবন্ধিত দুই লাখ ১০ হাজার ২৯৩ জন শিক্ষার্থীও এবারের উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে না।