বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ওই আবেদন দাখিল করা হয়।
এর আগে বুধবার ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কামারুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করার পর এ কথা জানান তাঁর আইনজীবী তাজুল ইসলাম।
কামারুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করে এসে কারাগারের সামনে তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, পুনর্বিবেচনার আবেদন করার প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার এটি দাখিল করা হবে। এ সময় তাজুল ইসলামের সঙ্গে ছিলেন কামারুজ্জামানের অন্য চার আইনজীবী শিশির মনির, এহসান এ সিদ্দিক, মতিউর রহমান আকন্দ ও নজিবুর রহমান।
এ সময় তাজুল ইসলামের সঙ্গে ছিলেন কামারুজ্জামানের অন্য চার আইনজীবী শিশির মনির, এহসান এ সিদ্দিক, মতিউর রহমান আকন্দ ও নজিবুর রহমান।
কামারুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করতে এই পাঁচ আইনজীবী বুধবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে যান। তাঁরা প্রায় ৪৫ মিনিট পর বেরিয়ে আসেন। কারা ফটকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তাজুল ইসলাম। তিনি জানান, রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনের বিষয়েই মূলত কামারুজ্জামানের সঙ্গে তাঁদের কথা হয়েছে। তিনি সুস্থ ও মানসিকভাবে দৃঢ় আছেন। তবে কামারুজ্জামান মনে করেন, তিনি ন্যায়বিচার পাননি। তবে তাঁর আশা, রিভিউতে ন্যায়বিচার পাবেন।
তাজুল ইসলাম জানান, আপিল বিভাগে অন্যান্য মামলায় যে ধরনের সময় ও সুযোগ দেওয়া হয়, রিভিউতে একই ধরনের সুযোগ দেওয়া হবে বলে তাঁরা আশা করছেন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে গত বছরের ৩ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ সংখ্যাগরিষ্ঠমতে কামারুজ্জামানের মৃত্যুদ-াদেশ বহাল রেখে সংক্ষিপ্ত রায় ঘোষণা করেন। গত ১৮ ফেব্র“য়ারি পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। ওই দিন পূর্ণাঙ্গ রায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। ১৯ ফেব্র“য়ারি সকালে কামারুজ্জামানের মৃত্যু পরোয়ানায় সই করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এর তিন বিচারপতি। ওই দিনই মৃত্যু পরোয়ানা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছায় এবং তা কামারুজ্জামানকে পড়ে শোনানো হয়। ২৬ ফেব্র“য়ারি পূর্ণাঙ্গ রায়ের অনুলিপি পেয়েছেন কামারুজ্জামানের আইনজীবীরা।
জামায়াতের আরেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার পুনর্বিবেচনার আবেদনের রায়ে বলা হয়েছে, আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর তার অনুলিপি আসামির কাছে পৌঁছানোর বা তাঁকে জানানোর মধ্যে যেটি আগে হয় তার ১৫ দিনের মধ্যে পুনর্বিবেচনার আবেদন করতে হবে। সে হিসাবে আসামিকে রায় জানানোর ১৫তম দিন আজ।