জিয়া অরফানেজ স্ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বহাল রেখেছেন আদালত। তবে তার ছেলে দলের সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে। রাজধানীর বকশীবাজারে আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের এ বিশেষ আদালতে খালেদার গ্রেপ্তারে জারি করা পরোয়ানা প্রত্যাহারসহ কয়েকটি আবেদনের শুনানি শেষে আদালত আজ এই আদেশ দেন।
এর আগে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতেই জিয়া অরফানেজ স্ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম শুরু হয়। খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী শুনানিতে অংশ নিয়েছেন। তিনি শুনানিতে বলেন, নিরাপত্তাজনিত কারণে বিএনপি চেয়ারপারসন আদালতে আসতে পারছেন না। জবাবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল শুনানিতে আদালতকে জানান, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকা অবস্থায় আসামি হাজির না হলে ফৌজদারি কার্যবিধিতে তার জামিন দেয়ার বিধান নেই।
এদিকে খালেদা জিয়ার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন সকালে বাংলামেইলকে বলেন, আমরা ম্যাডামের নিরাপত্তা চেয়েছিলাম। সরকার যদি নিরাপত্তা দিতো তবে ম্যাডাম অবশ্যই আদালতে যেতেন। কিন্তু সরকার নিরাপত্তার বদলে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ম্যাডামের কার্যালয় ঘিরে রেখেছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে খাবার প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে তিনি কিভাবে আদালতে যাবেন?’