টাইগারদের বরণের অপেক্ষায়

12

এখনো শাহজালাল বিমানবন্দরের রানওয়ে ছোঁয়নি বাংলাদেশ দলের বহনকারী বিমানটি। তবে নায়কদের বরণ করে নিতে বিমানবন্দরের চত্বরে হাজির হচ্ছেন উত্সুক জনতা। ক্রমেই বাড়ছে জনতার ভিড়।

‘বাংলাদেশ এগিয়ে চলো’, ‘গো টাইগার্স গো’…এমন নানা স্লোগানমুখরখর হয়ে উঠেছে বিমানবন্দর চত্বর। অনেকের পরনে লাল–সবুজ জার্সি, হাতে লাল-সবুজ পতাকা, সঙ্গে ব্যানার-ফেস্টুন তো আছেই। হাতে ধরা ব্যানার–ফেস্টুনে নানা ধরনের স্লোগান। ‘গো টাইগার্স গো’, ‘রাইজ অব দ্য টাইগার্স’, ‘আমরা তোমাদের নিয়ে গর্বিত’… আরও কত কিছু। কিছু কিছু তরুণীর হাতে শোভা পাচ্ছে ‘ম্যারি মি তাসকিন’ও!

ফেসবুকভিত্তিক সংগঠন ‘ক্রিকেটখোর’-এর নাজিব রাফে উচ্ছ্বাসিত কণ্ঠে বললেন, ‘টাইগারদের বরণ করে নিতে অপেক্ষা করছি ঘণ্টাখানেক ধরে। বীরদের বরণ করে নিতে আমরা প্রস্তুত।’ ক্রিকেট সমর্থকদের আরেকটি সংগঠন বাংলাদেশ ক্রিকেট সাপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন নিয়ে এসেছে অনেকগুলো ব্যানার। এগু​লোতে লেখা: ‘বীর সেনাপতি মাশরাফিকে কোটি সালাম’, ‘তামিম আমরা পাশে আছি থাকব’, ‘মাহমুদউল্লাহ, বিশ্বকাপে প্রথম বাংলাদেশি সেঞ্চুরি করায় আপনাকে কোটি সমর্থকের অভিনন্দন’, ‘মুশফিক আপনি অসাধারণ, আপনার কাছে দায়িত্ববোধ শিখছি আমরা।’

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে বাঘের সাজে সমর্থন দিয়ে বিশ্বব্যাপী নজর কাড়া শোয়েব আলী টাইগারও এসেছেন চেনা সাজে। পিঠে লিখে এনেছেন ‘স্বাগতম বীর মাশরাফি বাহিনী’। দেশপ্রেমের আবেগে এ যেন আরেক নূর হোসেন!
উত্তরা থেকে আসা তিথি, রিতু, দিপীকা ও তারিন অপেক্ষা করছেন বিকেল চারটা থেকে। পরনে তাদেরও লাল-সবুজ জার্সি। চোখে-মুখে আনন্দের ঝিলিক। মিরপুর থেকে রোজা এসেছেন বন্ধুদের সঙ্গে। মাথায় পতাকা বাঁধা ঢাকা কমার্স কলেজের এ শিক্ষার্থী বললেন, ‘এই প্রথম ক্রিকেটারদের বরণ করতে এসেছি। এমন মুহূর্ত তো কালেভদ্রে আসে!’

এরই মধ্যে জনতার ভিড় সামলাতে হাজির হয়েছে পুলিশ। এখনই বেশ হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। মাশরাফিরা এসে পৌঁছালে কী অবস্থা হয়, কে জানে!

বাংলাদেশ দলের বিমান এসে পৌঁছার কথা সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে। দেশের মাটি ছোঁয়ার পর ক্রিকেটপ্রেমীদের এমনই ভালোবাসা সিক্ত হতে হবে মাশরাফিদের।