তারেক রহমানের নির্দেশনায় সিটি নির্বাচনে যাচ্ছে বিএনপি

21

ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে বিএনপি। চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবেই সিটি নির্বাচনে যাচ্ছে দলটি। লন্ডনের এক আলোচনা সভায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্বাচনে যাওয়ার ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবেই দলকে পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

যেহেতু তারেক রহমানের বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রকাশের ব্যাপারে আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, সেজন্য শীর্ষ নিউজ ডটকম তা প্রকাশ করছে না। তারেক রহমানের পুরো বক্তব্য শীর্ষ নিউজের কাছে রয়েছে।

আলোচনা সভায় তিন সিটির নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য তারেক রহমান বিএনপিকে আনুষ্ঠানিকভাবেই পরামর্শ দিয়েছেন। একই সঙ্গে দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন নির্বাচনে কাজ করার জন্য।

২৬ মার্চ যুক্তরাজ্য বিএনপির উদ্যোগে লন্ডনে আয়োজিত স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান এ নির্দেশনা দেন। স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের ৪৪তম বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভাটির আয়োজন করা হয়।

আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাজ্য বিএনপি’র সভাপতি শায়েস্তা চৌধুরী কুদ্দুস। পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমেদ।

জানা গেছে, দীর্ঘ দিন পরে তারেক রহমান জনসভায় বক্তব্য রাখেন। এদিকে তারেক রহমানের বক্তব্য পাওয়ার পরে নতুন করে সিটি নির্বাচনের হিসেব-নিকেষ করতে শুরু করেছে বিএনপি। দলটির শীর্ষ পর্যায়ের এক নেতা শীর্ষ নিউজকে জানান, “আন্দোলনকে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে নেয়ার কৌশল হিসেবেই নির্বাচনে যাবে বিএনপি।”

নির্বাচনে অংশ নিলে আন্দোলন বন্ধ হবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে এই নেতা বলেন, “আন্দোলন ও নির্বাচন একসঙ্গে চলবে। তিনি আরো বলেন, শুধু ঢাকা এবং চট্টগ্রামে নির্বাচন হচ্ছে। এই দুই এলাকার আন্দোলনে নতুন কৌশল যুক্ত করা হবে। সেই কৌশলেরই একটি অংশ হচ্ছে সিটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত।”

তিনি বলেন, “তিনটি সিটি করপোরেশন ছাড়া সারা দেশে তো আর নির্বাচন হচ্ছে না। এজন্য নির্বাচনের পাশাপাশি অন্যান্য এলাকার আন্দোলনকে আরো জোরদার করা হবে।”

অপরদিকে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক দায়িত্বশীল নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান-“বিএনপি ইতোমধ্যেই প্রর্থী তালিকা চূড়ান্ত করে ফেলেছে। সিটি নির্বাচনকে বিএনপি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে। আ’লীগ সমর্থিত প্রার্থীর বিপরীতে প্রচারণা ও দলীয় সমর্থন আদায়ে কৌশলগত বিষয় ঠিক করার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। তৃণমূল পর্যায়ে বার্তা পৌঁছে দেয়া হয়েছে। পরিবেশকে সামনে রেখেই আন্দোলনের ধরন ও কৌশল পাল্টানো হবে।”