বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এগিয়ে যাবে উন্নয়ন এখন স্বপ্ন নয়, বাস্তব । এ দেশের সামাজিক ,অর্থনৈতিক খাত সহ সকল ক্ষেত্রে বিস্ময়কর উত্থান হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও বানিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
আজ দুপুরে রাজধানীর পান্থপথে হোটেল সেরাটনে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সহায়তায় ‘বাংলাদেশ ট্রেড পলিসি সাপোর্ট প্রোগ্রাম’ (বিটিপিএসপি) আয়োজিত “জিএসপি আটোমেসন” এর উদ্ভোধন শেষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা জানান।
বানিজ্যমন্ত্রী বলেন, এই সরকারের অঙ্গীকার ছিল, ২০২১ সালে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মান করা। ‘আমরা দৃঢ় ভাবে প্রত্যয় ব্যক্ত করছি স্বাধীনতার সুবর্নজয়ন্তীতে (২৫বছর, ২০২১ সালে) বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৫০ সালে উন্নত দেশে পরিনত হবে।
তিনি আরো বলেন, বিশ্ব বাজারে প্রতিনিধিত্বে আমাদের সবচাইতে কাছের বন্ধু হলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন। সুল্ক মুক্ত রপ্তানি সম্প্রসারনে বাংলাদেশকে প্রতিনিয়ত সহায়তা করে যাচ্ছে তারা। জিএসপি অটোমেসন হবে এর সহায়ক।
মন্ত্রী আরো বলেন, এখন দেশ রাজনৈতিক ভাবে স্থিতিশীল, দেশের রপ্তানি লক্ষমাত্রা বেড়ে এ বছর ৯ থেকে ১৪ বিলিয়নে উন্নিত হয়েছে।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে আরও বক্তব্যে রাখেন আই সি টি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জোনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, ৬৫ শতাংশ যুব সমাজের এই দেশে। এই যুব সমাজের শক্তিকে কাজে লাগানোর জন্য বর্তমান সরকারের সর্বাত্তক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
বিশ্বপ্রযুক্তির সাথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সরকার এরি মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশের রুপকল্প বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। যার উদাহরন হিসেবে যশোরে হাইটেক পার্ক ও ২০১৭ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট চালুর কথা বলেন তিনি।
জিএসপি অটোমেসন কার্যক্রম কে স্বাগত জানানিয়ে তিনি আরো বলেন, দেশের রপ্তানি উন্নয়নে এই কার্যক্রমকে আমি স্বাগত জানাই।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বানিজ্যমন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম চৌধুরী, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশ প্রতিনিধি মারিও রন কনি সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।