সরকার বিএনপি দলীয় পোলিং এজেন্টদের নামের তালিকা ধরে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে অভিযান চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হান্নান শাহ।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের কাছে দেওয়া পোলিং এজেন্টদের নামের তালিকা সরকারি দলের লোক চুরি করে কিংবা যেভাবে হোক আওয়ামী লীগ ও আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর কাছে চলে গেছে। আর এই তালিকা ধরেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এজেন্টদের বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে।
রোববার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মির্জা আব্বাসের বাসায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে হান্নান শাহ এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা আলতাফ হোসেন চৌধুরী, যুবদল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নাজিমুদ্দিন আলম প্রমুখ।
বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা আরও বলেন, বিএনপির চেয়ারপার্সনের ওপর হামলা, কটুক্তি ও ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্যে বিএনপি’র ভোট কমে নাই। বরং ১৫ থেকে ২০ শতাংশ বেড়েছে। এজেন্টরা যদি কাজ করতে পারে তাহলে তারা এটি ধরে রাখতে পারবে। নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে সরকারের জুলুমের মাত্রা ততই বেড়ে চলেছে। আমরা যতটুকু অনুমান করতে পেরেছি, বিভিন্ন মিডিয়ায় জরিপ থেকে যেসব তথ্য পেয়েছি তাতে আমাদের প্রার্থীরা বিজয়ের পথে রয়েছে। আর সরকারি সমর্থক দলের প্রার্র্থীর ভরাডুবি হতে যাচ্ছে।
হান্নান শাহ বলেন, ‘আমাদের ভরসা কর্মী ও ভোটারদের ওপর। কর্মীরা কাজ করছে। তাদের সহায়তা করা সরকারের দায়িত্ব। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চলে আমরাই জয়ী হবো। এছাড়া মির্জা আব্বাসের স্ত্রী যেভাবে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন তাও নজীরবিহীন। তিনি ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করছেন। তাই আমরা বিজয় ছিনিয়ে নিতে দেবো না। এজন্য কার্যকর ভূমিকা রাখবো।’
মির্জা আব্বাস ভোট দিতে যাবেন কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ওনার বাড়িতে ভোট কেন্দ্র না, আগামীকাল (সোমবার) কোর্টে হাজিরা আছে, জামিন পেলে অবশ্যই যাবেন। আর যদি ওনার ওপর বাধা নিষেধ থাকে তাহলে তো যেতে পারবেন না।
হান্নান শাহ নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে বলেন, নির্বাচন কমিশন আমাদের প্রতিপক্ষ নয়, বরং তারা সরকারের প্রতিপক্ষ। অনৈতিক কাজে সরকার চ্যাম্পিয়ন।
বিএনপি নেতা হান্নান শাহ তাদের সমর্থিত প্রার্থীদের ওপর বিভিন্ন অত্যাচার-নির্যাতনের পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, ভোটারদের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে এবং তারা যাতে ভোট কেন্দ্রে যেতে না পারে সেজন্য মহল্লায় মহল্লায় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কোনো ভূমিকা নেই। পুলিশ-যুবলীগ ও ছাত্রলীগ এক হয়ে আমাদের ঠেকানোর জন্য মাঠে নেমেছে। নির্বাচন কমিশন ঠুঁটো জগন্নাথ।
সেনাবাহিনীকে মাঠে নামানো হচ্ছে না সুযোগে নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্র দখল করে সব জায়গায় নৈরাজ্য সৃষ্টি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।