২০১৩-১৪ অর্থবছরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের ১৯৮ কোটি ৮০ লাখ ৫৩ হাজার ৪৯ টাকা লোকসান হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। দশম সংসদের দ্বিতীয় বাজেট অধিবেশনে আজ শনিবার প্রশ্নোত্তর পর্বে ঝিনাইদহ-২ আসনের সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকীর টেবিলে উত্থাপিত এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী সংসদকে এ তথ্য জানান। মমতাজ বেগমের অপর এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেড ২০০৭ সালের মার্চ মাস থেকে দেশ ও বিদেশের সব অফিস থেকে আন্তর্জাতিক গন্তব্যের জন্য ইলেকট্রনিক টিকেট (ই-টিকেট) কার্যক্রম শুরু করে। বিমানে সকল আন্তর্জাতিক যাত্রী দেশ থেকে বিদেশ ও বিদেশে থেকে দেশের অভ্যন্তরে সব গন্তব্যের জন্য ইলেকট্রনিক টিকেট ও চেক-ইনের মাধ্যমে সেবা গ্রহণের সুযোগ পান।
রাশেদ খান মেনন বলেন, ২০১৩ সাল থেকে হজযাত্রীদের জন্যও ইলেকট্রনিক টিকেট চালু করা হয়। দেশের অভ্যন্তরীণ যাত্রীর জন্য ইলেকট্রিক টিকেট ইস্যু কার্যক্রম ২০১৪ সালের এপ্রিল থেকে চালু হয়। এ ছাড়াও সিট রিজারভেশন ও টিকেট ক্রয়ের জন্য অনলাইন সিস্টেম আগস্ট ২০১০ থেকে চালু রয়েছে। এর ফলে যাত্রীরা বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে ঘরে বসে বিমানের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টিকেট বুকিং ও ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে টিকেটের মূল্য পরিশোধ করতে পারেন। বিমানমন্ত্রী বলেন, ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ইন্টারনেট বুকিং কার্যক্রম আরও আধুনিকভাবে চালু করা হয়েছে। উপরন্তু ২০১৪ সালের ডিসেম্বর থেকে পরিপূর্ণভাবে টিএপি (ট্রাভেল এজেন্সি পোর্টাল) পদ্ধতি চালু হওয়ায় এজেন্টরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে বুকিং ও টিকেট করার সুযোগ পাচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে রেভিনিউ ইন্টিগ্রিটি (আরআই) ও রেভিনিউ ম্যানেজমেন্ট (আরএম) চালুর ফলে যাত্রী সাধারণের সেবার মান বৃদ্ধি এবং চাহিদা মতো টিকেটের সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে। রাশেদ খান মেনন বলেন, বৃদ্ধ এবং অসুস্থ যাত্রীদের উন্নত সেবা প্রদানের জন্য নতুন হুইল চেয়ার সংগ্রহ করা হয়েছে। এসব চেয়ার পরিচালনার জন্য মহিলা কর্মীসহ কিছু কর্মীকে নির্দিষ্টভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবং নতুন আরও হুইল চেয়ার ক্রয় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। যাত্রীসেবার মানোন্নয়নে আগমনী ও বহির্গমন যাত্রী হলে দুটি গ্রাহক সেবা ডেস্ক প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে উন্নত যাত্রীসেবা নিশ্চিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, যাত্রীদের সেবার মান উন্নতিকল্পে বিমানের চেক-ইন ব্যবস্থায় অত্যাধুনিক সফটওয়্যার প্রবর্তন করার ফলে উন্নত যাত্রীসেবা নিশ্চিত হয়েছে। এই ব্যবস্থা প্রবর্তনের ফলে যে সমস্ত যাত্রী ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম/সিলেট স্টেশন হয়ে বিদেশ ভ্রমণ করবেন তাদের ট্রানজিট, বোর্ডিং কার্ড মূল স্টেশন থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, ২০১৫ সালে হজযাত্রীদের জন্য ফিরতি বোর্ডিং কার্ড এবং মক্কা ও মদিনায় হজযাত্রীদের হোটেল থেকে তাদের ব্যাগেজ সংগ্রহপূর্বক জেদ্দা এয়ারপোর্টে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।