বিসিএসমুখী তারুণ্যের ‘কাঁটা’ কোটা

শরীফুল হাসান : শূন্য পদ দুই হাজার ২৪ টি। আবেদনকারী সাড়ে তিন লাখ। ৩৮ তম বিসিএসের এই চিত্রই বলে দেয় বাংলাদেশের শিক্ষিত তারুণ্য এখন কতোটা বিসিএসমুখী। এর আগে ৩৭ তম বিসিএসে বারশ’ পদের বিপরীতে আড়াই লাখ প্রার্থী আবেদন করেছিল। ৩৬তম বিসিএসে আবেদনকারী ছিলো প্রায় সোয়া দুই লাখ। সে হিসাবে এক বছরে বিসিএস পরীক্ষার্থী বেড়েছে ৪০ শতাংশ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, জাতীয় গ্রন্থাগার যেখানেই যান চোখে পড়বে বিসিএস পরীক্ষার্থীদের পড়াশোনা। প্রত্যুসেই লাইব্রেরিতে ঢুকে পড়ার বড় লাইন। স্বপ্ন তাদের একটা সরকারি চাকরি।

সরকারের নেওয়া বর্তমান বেতন স্কেল সরকারি চাকরিকে বেশ আকর্ষণীয় করেছে। এসব চাকরির স্থায়িত্ব, সুযোগ-সুবিধা ও মর্যাদার কারণে তরুণরা সব বিসিএসমুখী। এছাড়া বিসিএস দিয়ে নন ক্যাডারের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরি পা্ওয়া যায় বলে তরুণরা আরও বেশি করে বিসিএস দিচ্ছেন। তবে সাধারণ প্রার্থীদের এই স্বপ্নে সবচেয়ে বড় বাধার নাম ’কোটা’।

সরকারি চাকরির ৫৫ শতাংশ এখনও নিয়োগ পাচ্ছেন কোটার ভিত্তিতে। মেধাবীরা সুযোগ পাচ্ছেন বাকি ৪৫ শতাংশে। ফলে লাখ লাখ সাধারণ প্রার্থী পড়েছেন চরম বিপাকে। তাদের কাছে বর্তমান কোটা পদ্ধতি একটা অভিশাপ।

চলমান এই কোটা পদ্ধতির সংস্কার চাইছেন লাখ লাখ প্রার্থী। এমনকি সরকারি কর্ম-কমিশনও (পিএসসি) প্রতিবছর তাদের বার্ষিক প্রতিবেদনে এই কোটা সংস্কারের কথা বলে আসছে। ২০০৯ সালের ১৩ জানুয়ারি এ সংক্রান্ত একটা প্রস্তাব সরকারকে দেয় পিএসসি। কিন্তু বাস্তবে কোটা সংস্কারের সব প্রস্তাবই কাগজে বন্দি হয়ে রয়েছে।

অনেক ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতি ধীরে ধীরে উঠে গেলেও তা আঠার মতো লটকে রয়েছে জনপ্রশাসনে।

দেশের সামরিক বাহিনীর কথাই ধরা যাক। সেখানে কর্মকর্তা নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটাপদ্ধতি অনুসরণ করা হয় না। এ ক্ষেত্রে শুধু যোগ্যতাকেই বিবেচনা করা হয়। ফলে বাহিনীকে চৌকস করে গড়ে তোলা সম্ভব হচ্ছে।

তাহলে কি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের এই পদগুলোতে চৌকসদের প্রয়োজন নেই?

কথা হচ্ছিলো সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদারের সঙ্গে। এই কোটা পদ্ধতি নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘বিদ্যমান কোটাব্যবস্থার কারণে আমাদের প্রশাসনে মেধাবীদের চেয়ে কোটাধারী কম মেধাবীরা বেশি জায়গা করে নিচ্ছেন। আর শুধু সাধারণ ক্যাডার কেন, কলেজের শিক্ষক, বিচার বিভাগ—সবখানেই কোটার কারণে মেধাবীরা বঞ্চিত হচ্ছেন। কাজেই কোটাপদ্ধতির অবশ্যই সংস্কার হওয়া উচিত’।

চৌকস এই সরকারি কর্মকর্তা অবশ্য পুরোপুরি কোটা তুলে দেওয়ার পক্ষে নন। তার মতে অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য কোটা থাকতে পারে। তবে সব মিলিয়ে ২০ শতাংশের বেশি কোটা থাকা উচিত নয়।

বিদ্যমান কোটা ব্যবস্থায় কোনো পরীক্ষার মাধ্যমে পিএসসি যদি ১০০ জন লোক নিয়োগ দেয় তার ৪৫ জন মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ পাচ্ছেন, ৩০ জন নিয়োগ পাচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের মধ্য থেকে, ১০ জন নারী কোটায়, ১০ জন জেলা কোটায় এবং পাঁচজন নিয়োগ পাবেন উপজাতি কোটায়। এর সাথে যোগ হয়েছে প্রতিবন্ধীদের জন্য এক শতাংশ কোটা। এ হিসাবই বলে দেয়, একজন মেধাবী তরুণের সরকারি চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা, তার পরীক্ষায় অংশগ্রহণের আগেই কমে যায় ৫০ শতাংশ।

পিএসসির কর্মকর্তারা বলছেন, প্রতি বিসিএসে সাধারণ ক্যাডারে গড়ে ৫০০ জন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু অংশ নেন সাড়ে তিন লাখ পরীক্ষার্থী (চলতি বছরের হিসাবে)। কোটাপদ্ধতির কারণে কেউ যদি পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২২৬তম হন, তাহলে তিনি চাকরি না-ও পেতে পারেন। কারণ ৫০০ পদের মধ্যে মেধা কোটায় ২২৫ জনকে দেওয়া যাবে। কাজেই ২২৬তম হয়ে তিনি চাকরি পাবেন না। আবার কোটা থাকলে কেউ সাত হাজারতম হয়েও চাকরি পেতে পারেন।

এমন নয় যে কোটার প্রার্থী না থাকলে মেধাবীদের চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কারণ সেক্ষেত্রে ওই পদগুলো শূন্যই ফেলে রাখা হয়।

২৮ থেকে ৩৪ তম বিসিএসে কোটার কারণে অন্তত সাড়ে পাঁচ হাজার পদ শূন্য রাখতে হয়। অথচ অন্তত ২০ হাজার প্রার্থী উত্তীর্ণে হলেও চাকরিই পায়নি। এর মধ্যে ২৮ তম বিসিএসে ৮২১ টি, ২৯ তম বিসিএসে ৮১৬ টি, ৩০ তম বিসিএসে ৮০৩ টি, ৩১ বিসিএসে ৮১১ টি, ৩২ বিসিএসে ১১৩০ টি, ৩৩ বিসিএসে ৫০২ টি এবং ৩৪ বিসিএসে ৭২৩ টি পদ শূন্য ছিলো।

৩৫তম বিসিএসে মুক্তিযোদ্ধা, নারী ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কোটায় পূরণ না হওয়া ৩৩৮টি পদ ৩৬তম বিসিএসের মেধাতালিকা থেকে পূরণের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। উল্টো দিকে বিসিএস পাস করেও নিয়োগ পাননি ১৫ থেকে ২০ হাজার প্রার্থী।

সর্বশেষ বিসিএসগুলোর চিত্র: ২০০৫ সালে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের শেষ বছরে ২৭তম বিসিএসের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। নানা জটিলতার পর ২০০৮ সালে ওই বিসিএসের ফল প্রকাশ করে পিএসসি। এতে সাধারণ ক্যাডারে মোট ৫৮০ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়, যার মধ্যে ২৬৯ জনকে মেধায় আর ৩১১ জনকে কোটায় নিয়োগের সুপারিশ করা হয়।

২৮তম বিসিএসে সাধারণ ক্যাডারে মোট ৬৫৮ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করে পিএসসি। এর মধ্যে ৩১০ জনকে মেধায় আর ৩৪৮ জনকে কোটায় নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। অন্যদিকে প্রার্থী না পাওয়ায় প্রাধিকার কোটার বিপরীতে ৮১৩টি কারিগরী পদ শূন্য রাখে পিএসসি। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ৬২৮টি, মহিলা কোটায় ৪৫ ও উপজাতি কোটায় ১৪০টি পদ শূন্য ছিল।

২৯তম বিসিএসে সাধারণ ক্যাডারে ৪১৫ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। এর মধ্যে ২০১ জনকে মেধায় আর ২১৪ জনকে কোটায় নিয়োগের সুপারিশ করা হয়।

৩০তম বিসিএসে সাধারণ ক্যাডারে মোট ৭৬৫ জনকে নিয়োগের সুপারিশ ছিল। এর মধ্যে ৩৫৮ জনকে মেধায় আর ৪০৭ জনকে কোটা থেকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়।

৩১তম বিসিএসের সাধারণ ক্যাডারে ৭৬১ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করে পিএসসি। এর মধ্যে ৩৫৫ জনকে মেধায় আর ৪০৬ জনকে কোটায় নিয়োগের সুপারিশ করা হয়।

বিএনপি -জোট সরকারের সময় বলা হতো, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় প্রার্থী পাওয়া যাচ্ছে না। সমস্যা সমাধানে বর্তমান সরকার কোটার পদগুলোতে প্রার্থী না পাওয়ায় সেগুলো শূন্য রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। এর ফল হয় উল্টো। মেধাবীরা উত্তীর্ণ হয়েও একদিকে চাকরি পাননি, আর অন্যদিকে শত শত পদ শূন্য রয়ে গেছে। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসক, প্রকৌশলী ও কৃষি কর্মকর্তাদের মতো কারিগরি ক্যাডারের প্রার্থীরা সবচেয়ে বেশি বঞ্চিত হচ্ছেন।

২৯তম বিসিএসে ৫৩৮টি মুক্তিযোদ্ধা, ৮১টি মহিলা ও ১১১টি উপজাতিসহ কোটার ৭৯২টি পদ শূন্য ছিল।
৩০তম বিসিএসে ৬১৩টি মুক্তিযোদ্ধা, ৩২টি মহিলা ও ১৩৯টি উপজাতিসহ কোটার ৭৮৪টি পদ শূন্য ছিল।
৩১তম বিসিএসে ৫৫০টি মুক্তিযোদ্ধা, ৫৪টি মহিলা ও ১২৯টি উপজাতিসহ কোটার ৭৭৩টি পদ শূন্য ছিল।

কোটার শূন্য পদগুলো পূরণ করতে মুক্তিযোদ্ধা, আদিবাসী ও মহিলাদের জন্য ৩২তম বিশেষ বিসিএস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় পিএসসি। ওই বিসিএস ও মুক্তিযোদ্ধা কোটার ৮১৭টি, মহিলা ১০টি ও উপজাতির ২৯৮টিসহ মোট এক হাজার ১২৫টি পদ শূন্য রাখতে হয়। শেষ পর্যন্ত ৩৩তম বিসিএসের মাধ্যমে এই পদগুলো পূরণের সিদ্ধান্ত হয়। অথচ ৩২তম বিসিএসে উত্তীর্ণ ৯১২ জনই চাকরির সুযোগ পাননি। ৩৩ তম বিসিএসে ৫০২ টি ও ৩৪ বিসিএসে ৭২৩ টি পদ একইভাবে শূন্য ছিলো।

সম্প্রতি ৯ হাজার ৬০৯ জন সিনিয়র স্টাফ নার্স মাত্র ৫ মাস ৭ দিনে নিয়োগ করা হয়। এসব পদের মধ্যে ২ হাজার ৮৮২টি পদ মুক্তিযোদ্ধার কোটাভুক্ত ছিল। কিন্তু এর জন্য প্রার্থী পাওয়া গেছে মাত্র ১০১ জন। এর মধ্যে ৮৭ জনই মেধায় সুপারিশপ্রাপ্ত হন। বাকি ১৪ জন কোটায় সুপারিশপ্রাপ্ত হন। বিসিএসসহ নন-ক্যাডার পদে কোটার বিপরীতে প্রার্থী না পাওয়ায় অনেক পদ শূন্য থাকে।

কাগজে বন্দি কোটা সংস্কারের সুপারিশ: সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব আকবর আলি খান এবং সাবেক সচিব কাজী রকিব উদ্দীন আহমদ (বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার) বাংলাদেশের সিভিল সার্ভিসে বিদ্যমান কোটা ব্যবস্থার ওপর ২০০৮ সালের মার্চে একটি গবেষণা করেন। ৬১ পৃষ্ঠার এই গবেষণা প্রতিবেদনে কোটা কমিয়ে আনার সুপারিশ করা হলেও সেটি বাস্তবায়িত হয়নি।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৭৭ সালে এক বৈঠকে তৎকালীন পে ও সার্ভিস কমিশনের প্রায় সব সদস্য সরকারি নিয়োগে কোটা ব্যবস্থার বিরোধিতা করেন। কমিশনের সদস্যদের মধ্যে একমাত্র এম এম জামান ছিলেন কোটার পক্ষে। তবে কোটার পক্ষে সেদিন জামানের অবস্থান থাকলেও তিনি শুধু একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ব্যবস্থাটি চালু রাখার পক্ষে ছিলেন। তবে ১৯৮৭ থেকে পরবর্তী ১০ বছরে কোটার হার ধীরে ধীরে কমিয়ে দশম বছরে তা বিলুপ্ত করার কথা বলেছিলেন তিনি। ওই সুপারিশ অনুযায়ী, ১৯৯৭ সালের পর দেশের সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো কোটা থাকার কথা নয়। তবে ওই প্রতিবেদন বাস্তবায়নের কোনো উদ্যোগ সরকার নেয়নি। বাংলাদেশের সংবিধানে সরকারি চাকরিতে সবার জন্য সমান সুযোগ রাখার কথা বলা থাকলেও কোটা পদ্ধতির কারণে সেটি হচ্ছে না।

শুধু বিসিএস নয় নন-ক্যাডার প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরির ক্ষেত্রেও একই কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। তবে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে মেধাতালিকা থেকে ৩০ শতাংশ এবং বাকি ৭০ শতাংশ পূরণ করা হয় কোটা থেকে। এই কোটার মধ্যে শতাংশ হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা ৩০, মহিলা ১৫, আনসার ও ভিডিপি ১০, অনাথ ও প্রতিবন্ধী ১০ এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য ৫। এর বাইরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে ৬০ শতাংশ নারী কোটা, ২০ শতাংশ পোষ্যসহ অন্যান্য কোটা রয়েছে।

পিএসসির বার্ষিক প্রতিবেদনে একাধিকাবার কোটা সংষ্কারের সুপারিশ এসেছে। এতে বলা হয়েছে, বর্তমানে কোটা সংক্রান্ত যে নীতিমালা চালু আছে তার প্রয়োগ ‘অত্যন্ত জটিল, দুরূহ ও সময় সাপেক্ষ’। “প্রচলিত কোটা পদ্ধতির জটিলতার কারণে উপযুক্ত প্রার্থী নির্বাচন শতভাগ নিখুঁতভাবে সম্পাদন করা প্রায় অসম্ভব। বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে উপযুক্ত প্রার্থী মনোনয়নের জন্য বর্তমানে প্রচলিত কোটা পদ্ধতির সরলীকরণ অপরিহার্য। অন্যথায় কোটা প্রয়োগ জটিলতা থেকে উত্তোলন সম্ভব নয়।”

সংবিধানে নেই, তবু আছে কোটা: বাংলাদেশের সংবিধানের ২৯ (১) অনুচ্ছেদে প্রজাতন্ত্রে নিয়োগে সবার সমান সুযোগের কথা বলা হয়েছে। যদিও সংবিধানের ২৯(৩) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে রাষ্ট্র নাগরিকদের যে কোন অনগ্রসর অংশের জন্য বিশেষ বিধান করতে পারবে। এই অনুচ্ছেদ ধরলেও আদিবাসী বাদে আর কেউই এখন পিছিয়ে নেই।

চলমান কোটা পদ্ধতি নিয়ে প্রতিদিন শত শত তরুণের সঙ্গে কথা হয়। তারা সবাই কোটা পদ্ধতিকে মেধাবী তরুণদের জন্য অভিশাপ বলে মনে করেছেন। তারা এই কোটা পদ্ধতির সংস্কার চান। অন্যদিকে মেধানির্ভর জনপ্রশাসন গড়তেও এই কোটা পদ্ধতির সংস্কার দরকার।

বিষয়টা নিয়ে জানতে চাইলে পিএসসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক বলেন, গত দুটি বিসিএসে পিএসসি কোটার শুন্য পদগুলো মেধা দিয়ে পূরণ করছে। তবে চলমান কোটা পদ্ধতির সংস্কার চাইলে কাজটি সরকারকেই করতে হবে।

তবে প্রশ্ন হলো কবে সেটি হবে? আর কতোদিন মেধাবী তারুণ্যকে এই কোটার যন্ত্রণায় ভুগতে হবে?

সারাবাংলা ডটনেট

Exit mobile version