তিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোট গণনায়ও নানা অনিয়মের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
রাজধানীর মিরপুরের ইব্রাহিমপুরে ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ব্লু বার্ড কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর এজেন্ট ছাড়া সব প্রার্থীদের এজেন্টদের বের করে একচেটিয়া ভোট গণনা চলছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
এর আগে, কেন্দ্র দখল, ব্যালট ছিনতাই, জাল ভোট, সংঘর্ষ আর নির্বাচন বর্জনের হিড়িকের মধ্যেই বেলা চারটায় শেষ হয় তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।
বিকেল ৫টা থেকে শুরু হয় ভোট গণনা। পৌনে ছ’টার দিকে এই প্রতিবেদন লেখার সময়ও ভোট গণনা চলছিল।
এদিকে, বিভিন্ন স্থানে শুধুমাত্র ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টদের উপস্থিতিতে ভোট গণনা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এর আগে মঙ্গলবার সকাল আটটা থেকে একযোগে উত্তর ও দক্ষিণ ঢাকা এবং চট্টগ্রাম সিটিতে ভোট শুরু হয়। চলে একটানা বিকেল চারটা পর্যন্ত।
তবে বেলা ১২টার মধ্যে বিএনপিসহ বিরোধী বেশিরভাগ প্রার্থীই নানা অনিয়মের এই তুলে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়।
এবার তিন সিটিতে এবার মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ১১৮০। এর মধ্যে উত্তরে মেয়র পদে ১৬, সাধারণ কাউন্সিলর ২৮১ এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ৮৯। দক্ষিণে মেয়র পদে ২০, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৯০ এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৯৭।
একইভাবে চট্টগ্রামে মেয়র পদে রয়েছেন ১২, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২১৩ এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৬২।
ঢাকা উত্তর সিটিতে সাধারণ ওয়ার্ড ৩৬, সংরক্ষিত ওয়ার্ড ১২; ভোটার ২৩ লাখ ৪৫,৩৭৪। ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে সাধারণ ওয়ার্ড ৫৭, সংরক্ষিত ওয়ার্ড ১৯; ভোটার ১৮ লাখ ৭০,৭৫৩ জন। চট্টগ্রাম সিটিতে সাধারণ ওয়ার্ড ৪১, সংরক্ষিত ওয়ার্ড ১৪; ভোটার ১৮ লাখ ১৩,৪৪৯।
ভোটকেন্দ্র ঢাকা উত্তরে ১০৯৩ ও ভোটকক্ষ ৫৮৯২টি, ঢাকা দক্ষিণে ভোটকেন্দ্র ৮৮৯ ও ভোটকক্ষ ৪৭৪৬টি এবং চট্টগ্রামে ভোটকেন্দ্র ৭১৯ ও ভোটকক্ষ ৪৯০৬টি।
ভোট ঘিরে রবিবার রাত থেকে নিরাপত্তার জন্য মাঠে নামে ৮০,০০০ আনসার, পুলিশ, র্যা সহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। তাৎক্ষণিক বিচারকাজে দায়িত্ব পালন করেন ৪৭৬ জন ম্যাজিস্ট্রেট। তবে বাস্তবে তাদের কারো ভূমিকা চোখে পড়েনি। উল্টো কোনো কোনো কেন্দ্রে নিজেরা জাল ভোট দিতে সহায়তা করছেন, এমন চিত্রও দেখা গেছে।