যারা ৪৩ বছরে পারেনি, তারা ৪৩ মিনিটে ক্ষমা চাইবে কীভাবে-সুরঞ্জিত

জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও কারাগারে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের অপেক্ষায় থাকা যুদ্ধাপরাধী মুহাম্মদ কামারুজ্জামান ক্ষমা চাইবে, এটা প্রত্যাশা করাও সমীচিন নয় বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।

শনিবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) ভবনে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

‘চলমান রাজনীতি’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু একাডেমি।

ফাঁসি দিতে বিলম্ব করা, অপরাধীকে বাঁচিয়ে রাখারই উপায়- মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতা বিরোধী অপরাধের জন্য যারা ৪৩ বছরে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে পারেনি, তারা ৪৩ মিনিটে রাষ্ট্রপতির কাছে কীভাবে প্রাণ ভিক্ষা চাইবে? এটা প্রত্যাশা করাও সমীচিন নয়। তাই আর কালক্ষেপন না করে দ্রুত কামারুজ্জমানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হোক।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. এমাজ উদ্দিন আহমেদকে ‘বিএনপির মালিক’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, আপনি শত নাগরিক কমিটি করেছেন, আমরা চাইলে লক্ষকোটি নাগরিক কমিটি করে বুদ্ধিজীবীদের মাঠে নামাতে পারি।

এমাজ উদ্দিনের উদ্দেশ্যে সুরঞ্জিত আরও বলেন, সিটি নির্বাচনে সেনাবাহিনী নামানোর অযৌক্তিক দাবি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করবেন না। সেনাবাহিনীর কাজ দেশ রক্ষা করা। কোথায় কী নির্বাচন হলো, সেখানে তাদের কোনো ডিউটি নেই। এটা আইনেরও পরিপন্থী।

বেগম খালেদা জিয়ার উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, সিটি নির্বাচনে সমতল ভূমি করা হয়েছে। আপনি নির্দ্বিধায় প্রচারণায় নামতে পারেন। কিন্তু আসামিদের সঙ্গে নিয়ে যাবেন না। আর প্রচারণায় গেলে আপনি কতিপয় পোড়া মানুষ দেখতে পাবেন, তাদের গন্ধও আপনার নাকে আসবে। এজন্য আপনার সঙ্গে যারা যাবেন, তারা যেন রুমাল নিয়ে যায়।

বঙ্গবন্ধু একাডেমির উপদেষ্টা ডা. খন্দকার মো. এমদাদুল হক সেলিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির মিজি, সহ-সভাপতি রেজাউল করিম রেজা, সাজ্জাদ হোসাইন, মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানু প্রমুখ।

Exit mobile version