এ বিষয়ে জেলসুপার ফরমান আলী সোমবার বিকেল ৫টা ২২ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে সাংবাদিকদের বলেন, ‘অফিস চলাকালীন অর্থাৎ বিকেল ৫টার মধ্যে কামারুজ্জামানের রায়ের কপি হাতে পায়নি জেল কর্তৃপক্ষ।’
‘রায়ের কপি হাতে না পেয়ে থাকলে কামারুজ্জামানের পরিবারের সদস্যদের কেন ডাকা হয়েছে?’ এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যেহেতু আদালত রায় দিয়েছেন, সে কারণে আগাম প্রস্তুতি হিসেবে পরিবারের সদস্যদের ডাকা হয়েছে।’
আজ রায়ের কপি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে জেলসুপার বলেন, ‘আদালত যেহেতু রায়ের কপি পাঠিয়েছেন সেহেতু যে কোনো সময় তা কারাগারে আসতে পারে।’
রাতে রায়ের কপি হাতে পাওয়ার পর কারাকর্তৃপক্ষের করণীয় সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘রায়ের কপি হাতে পাওয়ার পরপরই কামারুজ্জামানকে তা পড়ে শোনানো হবে। সেই সঙ্গে তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন কি না সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হবে। যদি তিনি প্রাণভিক্ষা চান তাহলে সে অনুযায়ী তাকে সুযোগ দেয়া হবে। আর যদি না চান তাহলে আইনানুযায়ী পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে।’
প্রাণভিক্ষা না চাইলে আজ রাতে তাকে ফাঁসি দেয়ার কোনো সম্ভাবনা রয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। এবং কোনো প্রশ্নের উত্তর না দিয়েই কারাগারের ভেতর চলে যান।