শুক্রবার বিকেলে খালেদা জিয়ার সংবাদ সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সন্ধ্যায় ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন হানিফ।
সংলাপের দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কার সঙ্গে সংলাপ হবে? গত ৬৭ দিন হরতাল অবরোধের নামে যেসব সন্ত্রাসী, নৈরাজ্য ও নাশকতা চালিয়েছে এর দায়ভার তিনি না নিলে সংলাপের প্রশ্নই ওঠে না। খালেদা জিয়া খুনি। যে মানুষ হত্যা করে তার সঙ্গে সংলাপ হতে পারে না। একজন খুনির সঙ্গে সরকার বসে আলাপ করতে পারে না। সরকার পারে এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নৈরাজ্য নাশকতায় জড়িত খুনিদের বিচারের মাধ্যমে শাস্তি দিতে।’
আওয়ামী লীগের এই নেতা আরো বলেন, ‘গণতান্ত্রিক যে পন্থা সে পন্থা এই সরকার চালু করেছেন। বাংলাদেশে এই প্রথম নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে সার্চ কমিটির মাধ্যমে। সকল দলের সাথে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে। কাজেই এই নির্বাচন কমিশনের নির্বাচনকে নিয়ে কোনো বিতর্ক করার সুযোগ নেই। তার পরও বেগম খালেদা জিয়া শুধুমাত্র বিরুদ্ধাচারণ করার জন্য আজকে মিথ্যাচারে লিপ্ত হয়েছে।’
‘এই পরিস্থিতি আর কত দিন চলবে’ এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এই পরিস্থিতি অনাদিকাল চলবে না, চলতে পারে না। আর যেসব সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চলছে যেকোন মূল্যে সরকার এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিহত করবে।’
বিরোধী দলের আন্দোলন বানচাল করতে সরকার ষড়যন্ত্র করছে বেগম খালেদা জিয়ার এ অভিযোগের জবাবে হানিফ বলেন, ‘এসব ঘটনার সময় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও সাধারণ মানুষের হাতে অর্ধ-শতাধিক নেতাকর্মী ধরা পড়েছে। এদের মধ্যে ছাত্রদল যুবদল সেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা আছে। তা সত্ত্বেও কীভাবে ধামাচাপা দিয়ে সরকারের উপর দায় চাপাতে চায়। ওনার আন্দোলনে জনগণের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তাদের কর্মীরা পর্যন্ত রাস্তায় নামেনি।
গাড়িঘোড়া চলছে দোকান পাট খেলা আছে তাদের হরতাল জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছেন। আর দেশে কোনো সাংবিধানিক সঙ্কট নেই। দেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চলছে।’
এই সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, দপ্তর সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, কার্যনির্বাহী সদস্য সুজিত রায় নন্দী এবং এনামুল হক শামিম।