‘সংবিধান লঙ্ঘনের দায়ে প্রধানমন্ত্রীর ফাঁসিও হতে পারে’

59

আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে গণভবন থেকে প্রার্থী ঘোষণাকে সংবিধানের লঙ্ঘন বলে অভিযোগ করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন বিচার নাই। একজন প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে নির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা করতে পারেন না। কিন্তু এমন দিন আসতে পারে যেদিন সংবিধানের এমন লঙ্ঘনের দায়ে আপনার ফাঁসিও হতে পারে।’

মতিঝিলের ফুটপাতে শান্তির দাবিতে চলমান নিরবিচ্ছিন্ন অবস্থান কর্মসূচির ৬০তম দিনপূর্তি উপলক্ষে শনিবার দুপুরে বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সভাপতির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।

মতবিনিময় সভায় বিশিষ্ট নাগরিকরা কাদের সিদ্দিকীকে শুধু মতিঝিলেই অবস্থান কর্মসূচি সীমাবদ্ধ না রেখে সারাদেশে এই শান্তির ডাক ছড়িয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানান। জবাবে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘১ এপ্রিল বুধবার বিকেল ৫টায় আমি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমার পরবর্তী কর্মসূচি জানাব।’

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আপনার বাবা বঙ্গবন্ধু সারাজীবন সরকারি প্রভাবমুক্ত নির্বাচন চেয়েছেন। বিশ্বাস না করুন, আপনি আপনার বাবার (বঙ্গবন্ধু) আত্মজীবনী পড়ে দেখুন। আর আপনি গণভবনে ঢাকার গুণ্ডাদের নিয়ে খাওয়াচ্ছেন। সরকারি টাকা খরচ করছেন। এক দিন এর বিচারও হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সরকার এক টুকরো শুয়োরের মাংসের মতো সিটি নির্বাচন দিয়েছে আর সবাই সেই নির্বাচনে লাফিয়ে পড়ছে। তাহলে এত মানুষ জীবন দিল কেন? সিটি নির্বাচন নাকি ৫ জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচন প্রতিরোধ করার জন্য এত মানুষ জীবন দিল?’

কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘শেখ হাসিনা আপনি কিছুই করতে পারবেন না। পুলিশ দিয়ে রাষ্ট্র চালানো যায় না। তাহলে আইয়ুব খান, এরশাদও এখন পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতো। সিটি নির্বাচন বাদ দেন। সিটি নির্বাচনেও আপনি হারবেন।’

কাদের সিদ্দিকীর স্ত্রী নাসরিন কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা স্বামী কাদের সিদ্দিকী ৬০ দিন যাবত মতিঝিলের ফুটপাতে অবস্থান করছেন, জনগণের সুখের জন্য দেশের শান্তির জন্য যদি আমার স্বামী ৬০ বছরও ঘরের বাইরে থাকেন আমার কোনো আপত্তি নেই।’

মতবিনিময় সভায় কাদের সিদ্দিকীর অবস্থান কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, প্রাবন্ধিক সৈয়দ আবুল মকসুদ, কবি আল মুজাহিদী, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সভাপতি শেখ শওকত হোসেন নিলু, ইসলামী আন্দোলনের ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার বীরপ্রতীক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী প্রমুখ।